কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর বিধানসভার গজাশিমূলে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সভাস্থল ঘুরে দেখেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত, জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সোরেন (টুডু) সহ দলীয় নেতৃত্ব। সেখানে দুলালবাবু বলেন, ‘ইউসিসি হচ্ছে বিজেপির একটা গভীর ষড়যন্ত্র। আমাদের পরম্পরা, ঐতিহ্য শেষ করতে চাইছে। প্রতিবাদ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাশে আমারা সকলেই রয়েছি। সেটা আজ, শুক্রবার প্রমাণ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম হবে। শুধু গোপীবল্লভপুর বিধানসভা এলাকা থেকেই লোকজন আসবেন। আমাদের বাহিরে থেকে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে না।’ পশ্চিমবঙ্গ ভারত মুন্ডা সমাজের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক নবীন চন্দ্র সিং বলেন, ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়া মানেই সামাজিক রীতি, ধর্মীয় আচার ব্যবস্থা সবার ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। ফলে, আদিবাসীদের পরম্পরা, রীতি বজায় থাকবে না। এতদিন আমাদের কেন বিশেষ কোড দেওয়া হল না, তার কোনও উত্তর নেই। অথচ, ইউসিসি চালুর তৎপরতা দেখানো হচ্ছে। আসলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির যে শপথ নিয়েছিল, তারই মূল অ্যাজেন্ডা ইউসিসি।’
ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক নৃত্যলাল সিং বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ইউসিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন প্রতিবাদ করা শুরু করেছে। আগামীদিনেও বিরোধিতা করে যাব। একইসঙ্গে বনাধিকার আইনের প্রতিবাদ করছি। কারণ জঙ্গল নিয়ে আমাদের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা চলছে। ইউসিসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকে আমরা সমর্থন করছি।’ ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের জেলা পারগানা ঢেঙ্গা হাঁসদা বলেন , ‘আমারা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদ জানায়েছি। আগামীদিনে আন্দোলনেও শামিল হব।’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তারপর আর একটিও নির্বাচনে বিজেপি জিততে পারেনি। ফলে, বিজেপির সংগঠন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে ফের জেতার জন্য ঝাঁপিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে মোদি সরকারের ইউসিসি চালুর উদ্যোগ তাদের বেকায়দায় ফেলবে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।