প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোটলয় গ্রাম। গ্রামের পাশে দিয়েই বয়ে গিয়েছে কাঁসাই নদী। ওই নদীর বালি খুঁড়েই জল নিয়ে আসতে হয় গ্রামের মহিলাদের। গ্রামে সোলার পাম্প এবং টিউবওয়েল থাকলেও তা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাই গ্রামের মহিলারা সকালে এবং বিকেলে নদীতে গিয়ে বালি খুঁড়ে গর্ত করে ‘ডাঁড়ি’র জল নিয়ে আসতে বাধ্য হন।
গ্রামের গৃহবধূ রুনু মাঝি বলেন, বালি খুঁড়েই আমাদের জল নিতে হয়। অন্য কোথা থেকে আর জল পাব? গ্রামে জলের কল নেই। গ্রীষ্মকালে সমস্যাটা প্রকট হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে নদী জলে ভরে গেলে তখন বালি খুঁড়ে জল পাওয়ার উপায় নেই। ভোট এলেই তো নেতারা এসে প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোট পেরিয়ে গেলে আর তাঁদের পাত্তা পাওয়া যায় না। মালা রক্ষিত নামে আর এক গৃহবধূ বলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটেও ভোটকারবারিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, জল আর পেলাম না। নেতা-নেত্রীরা সবই জানেন। ভোট পেরলে আর কেউ খোঁজ নেন না। তাই গ্রামে প্রার্থীরা প্রচারে এলে ইচ্ছে আছে তাঁদের কাঁসাই নদীতে নিয়ে যাওয়ার। নিজের চোখে দেখে যদি কাজটা করে দেন।
গ্রামের মহিলারা আরও বলেন, বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। গ্রামের পাশ দিয়ে কাঁসাই নদী থেকে পানীয় জল শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা নদীর কাছে থেকেও জল পাচ্ছি না। বিভিন্ন জায়গায় বহুবার বলেও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গুহিরাম মাঝি বলেন, বিজেপি থেকে পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছিলাম। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি। গ্রামের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আমরা চেষ্টা করেছি। এমনকী ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ কেমন হাসছেন, তা ওই গ্রামের মানুষদের কাছে গেলে বোঝা যাবে। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বলেন, পুরুলিয়া জেলায় পানীয় জলের সমস্যা তো রয়েছেই। তা সমাধানের কাজও চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে তৎপর রয়েছে।