প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, পর্যটক কিংবা বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা কাজে আসা মানুষজনকে মন্দারমণি পৌঁছতে হলে চাউলখোলা বাসস্টপ কিংবা তাজপুর ব্রিজ হয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে দূরত্ব প্রায় ১৫কিলোমিটার। তবে ব্রিজটি হলে দূরত্বও অর্ধেক কমে যাবে। শুধু পর্যটকদের নয়, আশপাশের সিলামপুর, সোনামুই, দাদনপাত্রবাড় সহ সংশ্লিষ্ট কালিন্দী ও পার্শ্ববর্তী সটিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা হবে। কিন্তু তা এখনও হয়নি। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। কন্দর্পপুরের বাসিন্দা সুশান্ত দাস বলেন, আমাদের মন্দারমণি এলাকায় যেতে হলে সেই চাউলখোলা কিংবা তাজপুর হয়ে ঘুরে যেতে হয়। ব্রিজটি তৈরি হলে খুব সহজেই আমরা মন্দারমণিতে পৌঁছতে পারতাম। এদিকে রাস্তাটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে যাচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত ব্রিজটি তৈরি হোক। যদিও উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশাপাশি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। তার জন্য প্রশাসনিকভাবে পরিদর্শনও করা হয়। মন্দারমণির অদূরে তাজপুরে ব্রিজ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তরসিয়া খালের উপর এই ব্রিজটিও বেশ বড় আকারের হবে বলে প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়। নানা কারণে সেই সময় ব্রিজের ব্যাপারে কথাবার্তা আর এগয়নি। যদিও আগামীদিনে ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে, এমনটাই প্রশাসনিক সূত্রে খবর। রামনগরের সিপিএম নেতা, দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আশিস প্রামাণিক বলেন, তৃণমূল সরকার অনেককিছু প্রতিশ্রুতি দেয়, পালন করে না। উন্নয়নের যা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা বাম আমলেই। এরা এলাকায় কয়েকটি রাস্তা ছাড়া সেভাবে কিছু করতে পারেনি। শুধু মন্দারমণি নয়, বহু জায়গায় ব্রিজ প্রয়োজন রয়েছে। কোথাও সেভাবে কিছু হচ্ছে না। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, দীঘা-মন্দারমণি-তাজপুর-শঙ্করপুর পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে অনেক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। কোনওটাই পূরণ হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ গিরি বলেন, সাপুয়া থেকে মন্দারমণি রাস্তায় খালের উপর ব্রিজের প্রয়োজন ঠিকই। আমরা এলাকার বাসিন্দাদের দাবির কথা জানি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। আশা করছি, আগামীদিনে নিশ্চয়ই ব্রিজ হবে। ব্রিজের ব্যাপারে আমরা ভোটের পর সংশ্লিষ্ট মহলে ফের আলোচনা করব। সেখানে ব্রিজের দাবির বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।