কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরার বদলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরা দিয়ে বুথে নজরদারি চালানো হচ্ছে। নদীয়া জেলাজুড়ে ৪৬২৪টি বুথেই এই ক্যামেরা থাকছে। কিন্তু চতুর্থ দফার নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার নশোটি বুথে এই ক্যামেরা সক্রিয় থাকবে। বুথের ভিতর অস্বাভাবিক কিছু ক্যামেরায় ধরা পড়লেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এমনকী সামান্য হই হট্টগোল হলেও সতর্কবার্তা যাবে কমিশনের কাছে। কন্ট্রোল রুম থেকে জেলা প্রশাসন সমস্ত কিছু দেখতে পাবে এই ক্যামেরার মাধ্যমে। উন্নত প্রযুক্তির এই ক্যামেরা নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে প্রশাসন মহল। কিন্তু এই ক্যামেরা চলতে গেলে টেলিকম সংস্থার সিমের দরকার পড়ে। যার ভিত্তিতেই ক্যামেরায় নেটওয়ার্ক স্থাপন হয়। শুধুমাত্র ফোর জি পরিষেবা থাকলে, তবেই এই ক্যামেরা ঠিকঠাক ফুটেজ পাঠাতে পারবে। থ্রি জিতে কার্যকর হবে না ক্যামেরার পরিষেবা। এটাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। কারণ জেলার অনেক জায়গাতেই নামি দামি টেলিকম সংস্থার পরিষেবা একেবারেই ভালো না। সাধারণ দিনেই কল কাট, ইন্টারনেটে ব্ল্যাক আউটের মতো সমস্যা থাকে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই বিশেষ ক্যামেরার মধ্যে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সিম থাকবে। যাতে পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন থাকে, তার জন্য আমরা বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি ক্যামেরাতে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সিম লাগিয়ে আমরা পরীক্ষা করে নিচ্ছি কাদের ভালো নেটওয়ার্ক রয়েছে ওই এলাকায়।
যদিও প্রশাসনের দাবি, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ লোকসভার অন্তর্গত করিমপুর বিধানসভাতেও ভোট হয়েছে। সেখানেও বুথগুলিতে এআই ক্যামেরা ছিল। কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যা সেভাবে হয়নি। তাই আগামী ১৩ তারিখ চতুর্থ দফা নির্বাচনেও কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক থাকবে বলেই জানাচ্ছে প্রশাসন।