কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
উনিশের লোকসভা ভোটে প্রবল মোদি হাওয়ায় কৃষ্ণনগরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পদ্ম শিবির। একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা বাদে অন্যান্য বিধানসভায় বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পর চব্বিশের নির্বাচন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ পরিবারের গৃহবধূ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিতে চেয়েছিল বিজেপি। মোদি, অমিত শাহ, মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার সকলেই প্রচার সেরেছেন এই কেন্দ্রে জয়ের জন্য। তারপরেও রাজনৈতিক মহলের মতে, উনিশের হাওয়া এবার নেই। ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘দিল্লির যত বড়ই নেতা আসুক কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। সমস্ত ধর্মের মানুষ এখানে মিলেমিশে বাস করে। এখানে বিজেপির ধর্মের তাস খেলার চক্রান্ত ইভিএমে জনগণ উল্টে দেবে। কৃষ্ণনগর থেকেই সারা ভারতে বিজেপির উৎখাত নির্ধারণ হবে।’
কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, চাপড়া ও তেহট্ট, এই সাত বিধানসভা কেন্দ্র নিয়েই কৃষ্ণনগর লোকসভা আসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখানে মোট বুথের সংখ্যা ১৮৪১টি। যার মধ্যে সংখ্যালঘু প্রধান কালীগঞ্জ, চাপড়া, পলাশীপাড়া ও নাকাশিপাড়ায় সংখ্যালঘু বুথের সংখ্যা হবে ৮০০-র বেশি। এই সমস্ত এলাকায় দলীয় সংগঠন সেভাবে তৈরি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। খাতায়-কলমে কমিটি থাকলেও বাস্তবের মাটিতে তা কতটা কার্যকর সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরেই। তাই আগামী ১৩ মার্চ শুধুমাত্র হিন্দুত্বের হাওয়ার উপর আস্থা রেখেই ময়দানে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে। তবে কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ থেকে শুরু করে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, চাপড়া বিধানসভার বিধায়ক রুকবানুর রহমান, সবার মুখে একটাই কথা, ‘ধর্মীয় মেরুকরণেই বিজেপি স্বপ্ন ধ্বংস হবে।’
পলাশীপাড়ার বিজেপি নেতা বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, নাকাশিপাড়া ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত পলাশীপাড়া বিধানসভার মধ্যে পড়ে। এই পঞ্চায়েতগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সেখানে সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের মধ্যেও যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তা খুব ভালো। যেখানে আগে আমরা এজেন্ট দিতে পারতাম না, এবার সেখানেই আমরা লড়াই করব।