অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, বিজেপিকে মানুষ আর বিশ্বাস করতে পারছে না। এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবেন। প্রতিটা বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। এদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। এলাকায় হাওয়া ঘুরছে দেখে দলের নেতা-কর্মীরা খুশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের পর থেকে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালের আগে বুথ স্তরে বিজেপির সংগঠন মজবুত হয়। সেই সময় বহু নেতা কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলস্বরূপ
আঠারো সালের পঞ্চায়েত ভোটে বেশকিছু আসন গিয়েছিল বিজেপির দখলে। এই ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়। তৃণমূল একটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতি গিয়েছিল বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ১২টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। মাত্র পাঁচটি আসন পায় তৃণমূল। এরপর উনিশের লোকসভা ভোটে এই এলাকা থেকে বিজেপি ভালোই ভোট পেয়েছিল। সেইমতো বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ছন্দপতন হয়। জেলার চারটি বিধানসভা যায় তৃণমূলের দখলে। এরপর বিজেপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ব্লকের বুথ স্তরে সাংগঠনিক ধস নামতে শুরু করে। ফলস্বরূপ তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে একটিও পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করতে পারেনি। পঞ্চায়েত সমিতিও হাতছাড়া হয়েছে। তবে এবারের লোকসভা ভোটে আরও সংগঠন মজবুত করে মাঠে নামতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সেই কথা মাথায় রেখেই এদিন জোর কদমে প্রচার সারল তৃণমূল।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই শেষ হয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগেই দাপাদাপি শুরু করেছিল বেশকিছু নেতা। যা স্থানীয় মানুষ ভালোভাবে নেননি। অপরদিকে দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া বিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিতলেও পরে এলাকায় কোনও কাজ করেনি।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, বিজেপি ফের বিপুল পরিমাণে ভোট পাবে। কারণ মানুষ জানে কী হারে দুর্নীতি হয়েছে প্রতিটা এলাকায়। এছাড়া ভাতা পেলেও মানুষ চাকরি পায়নি। তাই ক্ষোভ রয়েছে।