অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
২০২১সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কয়লা ও গোরু পাচার নিয়ে মামলা রুজু করে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর সেই তদন্ত গতি পায়। কয়লা পাচার কাণ্ডে আসানসোলে রাজ্যের আইনমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গোরু পাচার কাণ্ডে কন্যা সহ জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু গত ছ’মাস ধরে তদন্তে তেমন কোনও গতি দেখা যায়নি। আদালতও এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ঠিক আগেই অমিত শাহকে পদ্মফুল দিয়ে বিদায় জানাতে দেখা গিয়েছে জয়দেব খাঁকে। যাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকী এক কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও উঠেছিল। এহেন লোকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাসিমুখে ছবিই এখন তৃণমূলের কাছে পাল্টা অস্ত্র। তাদের দাবি, কয়লা পাহারায় থাকে সিআইএসএফ। ইসিএলও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। তাদের যোগসাজস ছাড়া কীভাবে কয়লা পাচার সম্ভব? এদিন সুর আরও চড়িয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, কয়লা মাফিয়ার মাথার উপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থাকলে সবই সম্ভব।
কয়লা ও গোরু পাচারের প্রভাব কিন্তু শুধু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবন্ধ নেই। বর্ধমান দুর্গাপুরের একাংশ, বীরভূম, বোলপুর, বাঁকুড়া, এইসব লোকসভা কেন্দ্রের এলাকায় কয়লা পাচার নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে পাচার কাণ্ড নিয়ে বিজেপির অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের সন্দেহ জাগলে তা ব্যুমেরাং হতে পারে। আর এখান থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভোটের মুখে একেবারে এক্সপোজ হয়ে গেলেন। শুক্রবারই অভিষেক আসানসোলের এসে বিজেপির সন্দেশখালি চক্রান্ত ফাঁস করেছেন। বিজেপির মুখোশ খুলে পড়ছে।
যদিও এদিন দুর্গাপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০১৯সালে উনি আমাদের দলে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল করতেন। তখন তো ওঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। বিজেপিতে আসলেই তিনি মাফিয়া হয়ে গেলেন। তৃণমূল ওঁকে মাফিয়া বলছে, যেই দলের নেতা কয়লা পাচারে অভিযুক্ত, স্ত্রী সোনা পাচারে অভিযুক্ত। আমি জানি জয়দেব খাঁর সাইডিং রয়েছে। চারশো লোক কাজ করেন।