কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ডিভিসির সেচখাল। ওই সেচখাল পার হলেই মেমারি শহর। কিন্তু, যোগাযোগের সেতু ‘বেহাল’। আবার বিভিন্ন জায়গায় খরচের ‘বোর্ড’ থাকলেও ফেরেনি রাস্তার হাল। শহরের ‘পড়শি’ হলেও মেমারি–১ ব্লকের বাগিলা পঞ্চায়েতের দিলালপুর গ্রামের পরতে–পরতে অনুন্নয়নের ছোঁয়া। আর সেকারণে গ্রামবাসীরা উন্নয়নের জন্য একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। গ্রামে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছিল। তারপরেও তৃণমূল কয়েকটি দেওয়াল লিখেছিল। তবে, সেসব মুছে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ‘জনগর্জন’-এর গাড়ি ঢুকতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত সেই গাড়ি আর গ্রামে ঢুকতে পারেনি। শেষমেশ গ্রামবাসীদের বোঝাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন বর্ধমান-১ বিডিও শতরূপা দাস। বিডিও এলাকা পরিদর্শন করে গ্রামবাসীদের দাবি যথাযথ বলে তাঁদের বোঝান, ভোট বয়কট সমাধান নয়। তিনি বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন। ভোট মিটে গেলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, একটা সময় ছোট নৌকা করেই ডিভিসি পেরিয়ে মেমারি শহরে তাঁরা যেতেন। মেমারি শহরে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা থাকলেও তার দূরত্ব অনেকটাই। সেই জন্যই ২৪ বছর আগে তৈরি হওয়া কাঠের সেতু দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। দুর্বল এই সেতুর কাঠের পাটাতন ভেঙে গিয়েছে। কাঠের গুঁড়িগুলিও ছেড়ে–ছেড়ে পড়ছে। সেতুটি এখন ভগ্নপ্রায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ বাজার, স্কুল, কলেজ সহ সব প্রয়োজনেই মেমারি যেতে গেলে ওই সেতুটিকেই তাঁরা ব্যবহার করতে বাধ্য হন। এনিয়ে গত কয়েকবছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে আবেদন-নিবেদন করে শুধুই আশ্বাস মিলেছে। তার উপর রাস্তা বেহাল হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। গ্রামবাসীরা বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজ থেকে বা পঞ্চদশ অর্থ–কমিশনের অর্থে রাস্তা তৈরি, সংস্কার হয়েছে বলে অনেকগুলি ফলক লাগানো হয়েছে। কিন্তু, আদৌ রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। মেমারি-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকজনকে নিয়ে বিজেপি এসব করছে। সেতুটিকে মেরামতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাকা সেতু করতে হলে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে। তবে বিজেপির মেমারি বিধানসভার আহ্বায়ক শৈলেন বিশ্বাস বলেন, এখানে বিজেপির কোনও ব্যাপার নেই। সম্পূর্ণভাবেই গ্রামবাসীরা অনুন্নয়ের পক্ষে গর্জে উঠেছে। তৃণমূলের দ্বন্দ্বেই উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে না ওই গ্রাম।