কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
তবে এখনও জামালপুরের বাসিন্দারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। ভোট মিটলে আবার কী হবে, তা জানা নেই। মশাগ্রাম স্টেশনের কাছে একটি সেলুনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সূর্য সরকার, নিত্যানন্দ দাস বলেন, শুনেছি সেই সময় পোস্ট অফিসে আরও অনেক চিঠি এসেছিল। ভোট মিটলে আবার তা পাঠানো হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এসব করে কী লাভ বুঝতে পারছি না।
এই এলাকায় বিজেপির অন্যতম তাস সিএএ। কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত চাপিয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী আশ্বাস দিচ্ছে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের। সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। জামালপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, সবটাই বিজেপির ভাঁওতা। ওরা ভুল বুঝিয়ে ভোট নিতে চাইছে। এই এলাকার ভোটাররা যথেষ্টই সচেতন। তাঁরা এত সহজে অপমান ভুলবেন না। সেই সময় দিদি পাশে না দাঁড়ালে বহু পরিবারের আধার কার্ড তারা বাতিল করে দিত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি বাংলাকে বিভিন্নভাবে টাইট দিতে চাইছে। আধার কার্ডও সেই কারণেই বাতিল করা হয়েছিল।
বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, তৃণমূলের কাজই হল গুজব রটানো। কারও আধারকার্ড নিষ্ক্রিয় হয়নি। কেউ কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়নি। সিএএর দাবিতে আমরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। তৃণমূল প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে। এসব নিয়ে তাদের কথা বলার অধিকার নেই।
আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পাঠানোর পরই সিএএ লাগু হয়। তৃণমূলের দাবি, এসব এনআরসির পদধ্বনি। বিজেপি এনআরসি করে আমজনতাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়। ভোট প্রচারে তা নিয়ে দলের নেতারা সরব হয়েছেন। ইভিএমে এসবের বদলা নিতে জামালপুর মুখিয়ে রয়েছে। আধার কার্ড বাতিলের নোটিস পাওয়া পরিবারগুলিও বলছে, সব জবাব ইভিএমেই হবে।