প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম বড় বিধানসভা মানিকচক। ওই বিধানসভা এলাকা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। ২০১১ সালে জেলার মধ্যে একমাত্র মানিকচক কেন্দ্রে তৃণমূল জয়লাভ করে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ৩৩ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে ঘাসফুল শিবির তৃতীয় স্থানে ছিল। সেবার ওই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৮১ হাজার ৮০৯, কংগ্রেস ৫১ হাজার ৯২০ এবং তৃণমূল ৪৭ হাজার ৮৮৫ ভোট পায়।
তৃণমূলের দাবি, ২০১১ সালে রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসার পর সার্বিকভাবে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে মানিকচক বিধানসভায়। মানিকচক বিধানসভার বিগত ১০ বছরের উন্নয়নই তৃণমূলের লড়াইয়ে অক্সিজেন জুগিয়েছে।
২০১১ সালে বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহের একমাত্র শাসক দলের প্রতিনিধি হিসাবে সাবিত্রী মিত্র বিধানসভায় যান। মূলত তাঁর হাত ধরেই সার্বিকভাবে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে গোটা মানিকচক এলাকাজুড়ে। মানিকচক বিধানসভার একেবারে প্রান্তিক এলাকা ছিল ভুতনি। সেখানকার বাসিন্দাদের মানিকচকের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। ফুলহর নদী পেরিয়ে প্রায় চার কিমি হেঁটে যাওয়ার পর পৌঁছতে হতো ভুতনিতে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরই ভুতনিতে সেতু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন সাবিত্রী মিত্র। প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভুতনি সেতু। ২০১৯ সালে যার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সেতু হওয়ার পর গোটা ভুতনির চিত্রটাই পাল্টে গিয়েছে। ভুতনির হিরানন্দপুর গড়ে তোলা হয়েছে হাসপাতাল। ভুতনি পুলিস ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। সাবিত্রীদেবী বলেন, মানিকচকবাসী তৃণমূল জমানায় প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আমরা মানিকচক থেকে দলীয় প্রার্থীকে লিড দেব।
দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেন, মানিকচকে গত কয়েকবছরে আমাদের সংগঠন অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে। এবার আমরা সেখানে লিড পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।