কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্যবসায়ীদের দাবির একাংশ যে যুক্তিযুক্ত নয়, সেই বিষয়টির স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। সমস্যার সমাধান যে আলোচনার মাধ্যমেও করা সম্ভব, তাও বলা হয়। যদিও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এরআগেও পুরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁরা বন্ধ প্রত্যাহার করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা বন্ধের থেকে সরে আসছেন না। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক এটা তাঁরা চান।
কোচবিহার মিউনিসিপ্যালিটি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তথা কোচবিহার ইউনিটের সভাপতি অলোক রায় বলেন, পুরসভার কাছে ব্যবসায়ী সমিতি দাবিদাওয়া জানিয়েছিল। সাতদিনের মধ্যে সেই দাবি না মিটলে ব্যবসা বন্ধ ডাকার কথা বলা হয়েছিল। ১৭ মে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনের অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু এটা এমন কোনও ঘটনা নয় যে আন্দোলনকে বন্ধ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। আমরা মনে করি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দাবিগুলি সাতদিনের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীদের থেকে একটু নমনীয়তা আশা করি। বন্ধ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয় না। আমরা অনুরোধ করব বন্ধ প্রত্যাহার করে আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান করা যায় কি না, তা ভেবে দেখুন।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ বলেন, সংগঠনটি আমাদের কথা চিন্তা করেছে বলে আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। এর আগেও আমরা পুরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে বন্ধ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। তাতে আমাদের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীদের যা অবস্থা তাতে আমাদের দাবিদাওয়া না মেটা পর্যন্ত বন্ধ তোলা সম্ভব নয়। তবে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক এটাই চাই।
এদিন পুরসভার ওই কর্মচারি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইন্সেসের ফি প্রত্যাহার করতে বলেছে। কিন্তু তা পুরসভার হাতে নেই। বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স ই-ডিস্ট্রিক্ট পোর্টালের মাধ্যমে হয়। সারা রাজ্যে একই পদ্ধতিতে হয় ও অনলাইনে পুরসভাকে টাকা জমা দিতে হয়। কনজারভেন্সি ফি প্রত্যাহারের দাবি প্রসঙ্গেও পুরসভা তা নির্ধারণ করে না বলে ওই সংগঠন দাবি করেছে। পাশাপাশি দোকানের নামজারির ক্ষেত্রে সংগঠনের অভিযোগ, পুরসভার সম্পত্তি কেউ বিক্রি করতে পারে না। পুরসভা তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। কিন্তু একাংশ ব্যবসায়ী পুরসভার থেকে স্টল নিয়ে পুরসভাকে না জানিয়ে তা চড়া দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করছে।