যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
এসজেডিএ’র তৈরি পেভার ব্লকের রাস্তা দখল করে অবাধে ব্যবসা চলছে। রাস্তায় টাঙানো হয়েছে ত্রিপল। প্রায় ১৫ ফুটের রাস্তা দখলের জেরে এখন তিন ফুটের আকার নিয়েছে। সেখানে দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার মতোও পরিস্থিতি নেই। নালা দখল করে দোকান গড়ে ওঠায় নিকাশির সমস্যা হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা জলকাদায় ভরে যাচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে নকশালবাড়ি বাজারের একটি জুতোর দোকানে শর্টসার্কিটের জেরে পরপর ৩৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল, দমকলের ১১ ইঞ্জিন দিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। কিন্তু এতবড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাক্ষী থেকেও হুঁশ ফেরেনি ব্যবসায়ীদের।
বাজারে আগুন লাগলে ফের দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে সমস্যা হবে বলে মেনে নিয়েছেন নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিখিল ঘোষ। তিনি বলেন, রাস্তা দখল করে যেন দোকান বসানো না হয়, সেবিষয়ে সব ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। আমরা রাস্তা থেকে ত্রিপল খুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। তবে কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। আমরা এবার অভিযান চালাব।
নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির অধীনে প্রায় ১৫৫০ ব্যবসায়ী রয়েছেন। রাস্তা দখল করে ব্যবসা চলছেই। সরকারি রাস্তা দখল করে ব্যবসা করা যায় না বলে জানাচ্ছেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত্ ঘোষ। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্যকথা বলছে। দিনের পর দিন এভাবে দোকান চললেও তা হটাতে কতটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপপ্রধান বলেন, রাস্তা দখলমুক্ত করতে আমরা ব্যবসায়ী সমিতি, ডিআই ফান্ডকে মার্কেট কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তাহে দু’দিন অভিযান চালাব। তবে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য পঞ্চায়েত থেকে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বসে বাজারে একটি শেডঘর করে ছোট ব্যবসায়ীদের বসানো যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। রাস্তা দখলমুক্ত করতে বুধবার ও রবিবার অভিযানে নামার আশ্বাস দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।