প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও জুবেদা খাতুনের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর মাধ্যমিকে ছিল ৯০.৪ শতাংশ নম্বর, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছেন ৯০.৪ শতাংশ নম্বর। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৮২, আরবি ও ইতিহাসে ৯২, দর্শনে ৯৩ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯০। জুবেদা বলেন, আমি ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চাই। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মেয়েকে কীভাবে উচ্চশিক্ষা দেব, বুঝতে পারছি না। জমি থেকে সামান্য যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনওরকমে সংসার চলে।
ধানগাড়া বিষণপুর অঞ্চলের এলাঙ্গি গ্রামের শাহিদ আক্তার ৯১.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তিনি বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৫, দর্শনে ৯৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯০ এবং ইতিহাসে ৮৮ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর বাবা মতিউর রহমান বছর চারেক আগে মারা যান। সামান্য জমি রয়েছে সেটা দেখাশোনা করে তাঁর মা কোনওরকমে সংসার আগলে রেখেছেন। শাহিদ বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর মা অনেক কষ্ট করে সংসার সামলাচ্ছেন। তাই আমাকে রোজগারের কথা ভাবতে হচ্ছে। কোনও ডিপ্লোমা কোর্স করতে চাই যাতে কোর্স শেষে কাজ পাই। সেইসঙ্গে ইংরেজি অনার্স করব মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে।
ধানগাড়া বিষণপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সাবদার আলি বলেন, জুবেদা এবং শাহিদ দুই পড়ুয়া অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে খুব ভালো ফল করেছে। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।