কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শহরজুড়ে নজরদারি শুরু করেছে রায়গঞ্জ পুরসভা। ২৭টি ওয়ার্ডেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা হচ্ছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করে আমরা পাঁচটি বিষয়ের উপর বেশি লক্ষ্য রাখছি। প্রথমত, বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া কোনও ওয়ার্ডে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শহরের কোথাও কেউ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে কি না বা দোকান খুলেছে কি না। তৃতীয়ত, পুরসভার অনুমতি না নিয়েই কর ফাঁকি দিয়ে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে কি না। এছাড়াও নতুন বাড়ি কেনা বা পুরানো বাড়ির মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে মিউটেশন ফাঁকি দেওয়া এবং কেউ পুর কর ফাঁকি দিচ্ছে কি না, তার ওপরেও নজর রাখা হয়েছে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যের মধ্যে সব থেকে ব্যর্থ পুরসভা হল রায়গঞ্জ। নিজস্ব আয় বাড়াতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। যেটা এই পুরসভা গত সাত বছরে করে উঠতে পারেনি। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করে মহকুমা শাসককে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই শহরের ১০ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা চালিয়েছেন কর্মীরা। লোকসভা ভোটের কারণে কিছুদিন ধরে সমীক্ষার কাজ বন্ধ ছিল। শীঘ্রই আরও ১৮ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা করা হবে।
মে মাস শুরু হতেই আন্দোলনে নামেন পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, মার্চ মাসের বেতন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পাওয়ার কথা। ঠিক একই ভাবে এপ্রিলের বেতন মে মাসে পাওয়ার কথা। কিন্তু সময়মতো মার্চ এবং এপ্রিলের বেতন না পেয়ে তাঁরা আন্দোলনে নামেন। প্রথমে মাসের শুরুতেই বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। পুর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও তিন দিন আগে বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে ফের তাঁরা কর্মবিরতি করেন। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে দু’দিন আগে পুরসভার গাড়ি চালকরাও দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন। বেতনের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে দেখা যায় রায়গঞ্জ পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদেরকেও। যদিও পুর প্রশাসক জানান, আমরা ধীরে ধীরে প্রত্যেকের বেতন মিটিয়ে দিচ্ছি। একই সঙ্গে পুরসভার শূন্য ভাঁড়ারের কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গত তিন বছরে খরচ কয়েক গুণ বাড়লেও আমরা কোনও পরিষেবারই চার্জ বাড়াইনি। এবার আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যেই রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। ১৫ মে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডাই হল পুরসভার নিজস্ব আয় বৃদ্ধি।