কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা-১ ব্লকের নয়ারহাট বাজার মহকুমার সবচেয়ে বড়বাজার। ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ এই বাজারের উপরে নির্ভরশীল। কৃষিজপণ্য সহ গবাদিপশু বেচাকেনা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনের মাঠের সেই বাজারের পাশ দিয়ে সুটুঙ্গা নদী বয়ে গিয়েছে। বিগত কয়েকবছর ধরে সুটুঙ্গা নদীর ভাঙনে মাঠের উত্তরদিকের বেশকিছুটা অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের উত্তরদিকে এবং পূর্বদিকে ভাঙন ক্রমশ এগিয়ে আসায় পঞ্চায়েত অফিস এবারের বর্ষায় ভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলে গ্রামবাসীরা মনে করছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, মাঠের একাংশ নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে সেনিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। ভাঙন সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সেচদপ্তরে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমরা নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সেচদপ্তর ও নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিকে জানিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নতুন বাজারের মাঠ নদীগর্ভে চলে গেলে কোথায় কৃষিপণ্যের বাজার বসবে সেটা নিয়ে কারও কোনও হেলদোল দেখছি না। এমনটা চলতে থাকলে বর্ষার সময় দুর্ভোগ বাড়বে।
নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় বর্মন বলেন, সুটুঙ্গা নদীর ভাঙন একটি বড় সমস্যা। আমরা এ নিয়ে ব্লক প্রশাসন ও সেচদপ্তরের সঙ্গে আগে কথা বলেছি। আবারও কথা বলব। মাথাভাঙা মহকুমা সেচদপ্তরের বাস্তুকার শ্রীবাস ঘোষ বলেন, সুটুঙ্গা নদীর ভাঙনের বিষয়টি আমরা জানি। নয়ারহাট বাজার এলাকার ভাঙন সমস্যা খতিয়ে দেখে ডিপিআর করে কোচবিহারে পাঠানো হবে। তারপর বরাদ্দ এলেই বাঁধ তৈরির কাজ করব আমরা।