কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এদিন আলোচনাসভায় জয়শঙ্কর দাবি করেন, গত ১০ বছরে বিশ্বের দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। একটা সময় ভারতকে গরিবের দেশ বলে জানত বাকি বিশ্ব। কিন্তু গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ গরিব তকমা ফেলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘করোনাপর্ব মিটিয়ে বহু দেশ এখনও অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অথচ ভারতে সাত শতাংশ হারে আর্থিক বৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে। ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। ৪০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০ কোটি মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন। দেশের সীমানা সুরক্ষিত। এদেশের বড় বাজার ও সুষ্ঠু প্রশাসনকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব।’ এভাবে বিদেশমন্ত্রী যখন নরেন্দ্র মোদি জমানার সাফল্যের ঢাক পেটাচ্ছেন, তখন দর্শকাসন থেকে প্রশ্ন ওঠে, বিশ্বের সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ভারতের একটিও নেই কেন? এখানকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কেন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন? কেন এদেশ থেকে কর্মীরা চাকরি বা কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন? এই প্রশ্নবাণের মুখেই বিদেশমন্ত্রী শিক্ষায় পরিকাঠামোর অভাবের কথা স্বীকার করে নেন। তিনি অবশ্য আরও বলেন, ‘বিদেশি নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে একাধিক কোর্স চালু করা হয়েছে। কিন্তু তা অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ। যদি দেশে উৎপাদন শিল্প বড় আকারে না প্রসারিত হয়, তাহলে কর্মীদের বাড়তি রোজগারের সন্ধানে বাইরে চলে যাওয়া আটকানো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন শিক্ষা নীতি এনেছে, তা এই সমস্যা কাটাতে সাহায্য করবে। কারণ, সেখানে ডিগ্রির পরিবর্তে দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ মুদ্রা যোজনা চালু করাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বলে মনে করেন তিনি।
পূর্ব ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘কাশ্মীর সমস্যা ও পূর্ব ভারতের সমস্যা এক নয়। কিন্তু আমরা কখনওই বিদেশিদের জন্য সীমানা খুলে রাখতে পারি না। দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় সীমানা সুরক্ষিত রাখা যে কোনও দেশের কর্তব্য। কেন্দ্রীয় সরকার সেটাই করছে।’ এ প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর খোঁচা, ‘যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরাই বলতে পারবেন তার কারণ।’ - নিজস্ব চিত্র