যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
প্রীতেশ বসু, কার্মাটাঁড়: নাগরিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে একদিন তিনি চলে গিয়েছিলেন কার্মাটাঁড়ে। সেখানে কাটিয়েছিলেন জীবনের শেষ ১৭টা বছর। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দুমকা লোকসভা কেন্দ্রের অধীন জামতাড়া ও মধুপুরের মাঝামাঝি এই এলাকা।১৮৭৩-৭৪ সালে এখানেই তৎকালীন সময়ে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি বাংলো-বাড়ি কিনেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এখানে থাকাকালীন তিনি নানাভাবে আদিবাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গাছগাছালিতে ভরা ভীষণ পছন্দের এই বাড়িটির তিনি নিজেই নাম রেখেছিলেন নন্দনকানন। বাড়ির পাশে এখনও রয়েছে বিদ্যাসাগরের নিজে হাতে লাগানো আমগাছটি। তবে বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের আবহে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গাটিকে কাজে লাগাতে মরিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ফলে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানকে রাজনীতির হাত থেকে রক্ষা করাই এখন কার্মাটাঁড়ের বাঙালিদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে বিদ্যাসাগরের নন্দনকাননের দেখাশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন করে বিহার বাঙালি সমিতি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যাসাগরের এই সম্পত্তি কিনে নিয়ে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে নেয় এই সংস্থা। এলাকাবাসীর দাবি মেনে কার্মাটাঁড় ট্রেন স্টেশনটির বর্তমান নামও ‘বিদ্যাসাগর’। এখান থেকে ট্রেনে দেওঘর এক ঘণ্টার পথ।
কার্মাটাঁড়ে বেশ কয়েক ঘর দত্ত, চক্রবর্তীর বাস। পাশাপাশি তেলিকিয়ারি, পিন্ডারি গ্রামেও বসবাস করেন বাঙালিরা। তবে স্থানীয়ভাবে নন্দনকাননের দেখাশোনা করেন এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা চন্দন মুখোপাধ্যায়। তিনিই জানালেন বিদ্যাসাগরের বাড়িকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির দাপাদাপির কথা। তিনি জানান, ‘কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার আঞ্চলিক নেতারা ওখানে একটি হলে সভা করার জন্য চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানে তো কোনও রাজনৈতিক দলেরই সভা করা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে যে কোনও মানুষই আসতে পারেন। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা এসেছেন। কিন্তু কেউই রাজনৈতিক পরিচয়ে আসেননি।’ তাঁর থেকে আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে বিজেপির তরফেও এই জায়গায় একটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পরে তাঁরা কোনও পতাকা ছাড়াই রক্তদান শিবির করায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চন্দনবাবু বলেন, ‘আমরা নিজেরাও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। ফলে এই জায়গাকে রাজনীতি মুক্ত রাখাই এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ’।
এই স্থানে রাজনৈতিক সভা হোক, চান না এখানকার অন্যান্য বাঙালি থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিগত দিনে কলকাতার ডান-বাম অনেক নেতাই এসেছেন বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িতে। বিদ্যাসাগর কলেজের প্রতিনিধিরাও এখানে এসেছিলেন।
এলাকার এক বাসিন্দা মনোজের কথায়, ‘দেখুন ব্যক্তিগত পরিচয়ে যে কেউ এখানে আসতেই পারেন। কিন্তু কোনও দলের অনুষ্ঠান হোক, এটা আমরা চাই না।’
বর্তমানে বিদ্যাসাগরের নন্দনকাননের দেখাশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন করে বিহার বাঙালি সমিতি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যাসাগরের এই সম্পত্তি কিনে নিয়ে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে নেয় এই সংস্থা। এলাকাবাসীর দাবি মেনে কার্মাটাঁড় ট্রেন স্টেশনটির বর্তমান নামও ‘বিদ্যাসাগর’। এখান থেকে ট্রেনে দেওঘর এক ঘণ্টার পথ।
কার্মাটাঁড়ে বেশ কয়েক ঘর দত্ত, চক্রবর্তীর বাস। পাশাপাশি তেলিকিয়ারি, পিন্ডারি গ্রামেও বসবাস করেন বাঙালিরা। তবে স্থানীয়ভাবে নন্দনকাননের দেখাশোনা করেন এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা চন্দন মুখোপাধ্যায়। তিনিই জানালেন বিদ্যাসাগরের বাড়িকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির দাপাদাপির কথা। তিনি জানান, ‘কিছুদিন আগেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার আঞ্চলিক নেতারা ওখানে একটি হলে সভা করার জন্য চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানে তো কোনও রাজনৈতিক দলেরই সভা করা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে যে কোনও মানুষই আসতে পারেন। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী থেকে তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা এসেছেন। কিন্তু কেউই রাজনৈতিক পরিচয়ে আসেননি।’ তাঁর থেকে আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে বিজেপির তরফেও এই জায়গায় একটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পরে তাঁরা কোনও পতাকা ছাড়াই রক্তদান শিবির করায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চন্দনবাবু বলেন, ‘আমরা নিজেরাও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। ফলে এই জায়গাকে রাজনীতি মুক্ত রাখাই এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ’।
এই স্থানে রাজনৈতিক সভা হোক, চান না এখানকার অন্যান্য বাঙালি থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিগত দিনে কলকাতার ডান-বাম অনেক নেতাই এসেছেন বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িতে। বিদ্যাসাগর কলেজের প্রতিনিধিরাও এখানে এসেছিলেন।
এলাকার এক বাসিন্দা মনোজের কথায়, ‘দেখুন ব্যক্তিগত পরিচয়ে যে কেউ এখানে আসতেই পারেন। কিন্তু কোনও দলের অনুষ্ঠান হোক, এটা আমরা চাই না।’
