যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
গত বছর পুজোর পর থেকেই ডিস্ট্রিবিউটরদের অফিসে আধার যাচাইকরণের কাজ শুরু হয়। এই কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয় গ্রাহকদের। আধার যাচাইকরণ না হলে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাবে অথবা গ্যাস বুকিং হবে না, এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রাহকদের মধ্যে। গোটা দেশে এনিয়ে চূড়ান্ত অস্থিরতা তৈরি হলেও একেবারে চুপ ছিল পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। তেল সংস্থাগুলির তরফেও গ্রাহকদের সচেতন করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ধোঁয়াশা আরও বাড়ে। সেই সময় বলা হয়েছিল, ডিস্ট্রিবিউটরদের তরফে কর্মীরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাসের সংযোগের সঙ্গে আধার যাচাইয়ের কাজ করবেন। কিন্তু সেই কাজে গতি আসেনি। অগত্যা গ্রাহকদের পৌঁছতে হয় গ্যাস অফিসে এবং লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এই কাজ করতে হয়।
সম্প্রতি পেট্রলিয়াম মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি গ্রাহকের বাড়ির গ্যাসের ন্যূনতম সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে ডিস্ট্রিবিউটরদের। অর্থাৎ গ্যাসের সংযোগটি সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ কি না, গ্যাস ওভেন, পাইপ বা রেগুলেটর ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, এসব যাচাই করবেন কর্মীরা। এই পরিষেবা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। গ্যাস সংস্থাগুলির তরফে ডিস্ট্রিবিউটরদের বলা হয়েছে, তাদের কর্মীরা যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই পরিষেবা দেবেন, তখনই আধার যাচাইকরণের কাজটিও তাঁরা সেরে নেবেন। তাঁরা গ্রাহকের থেকে আঙুলের ছাপ নেবেন। ন্যূনতম সুরক্ষা চেকিংয়ের কাজ শেষ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া না হলেও যত দ্রুত সম্ভব সেই কাজ গুটিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে আধার সংযুক্তিকরণের কাজটিও দ্রুত শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ক্ষোভ জমেছে ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, আলাদা করে গ্যাসকর্মীদের জন্য কোনও ভাতা বা সুবিধার কথা না জানিয়ে একের পর এক কাজ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।