প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কমিশন সূত্রের খবর, দুই হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, আশঙ্কাজনক প্রসূতির চিকিৎসা যথাসময়ে করা হয়নি। ঘটনাটি গতবছরের ১ সেপ্টেম্বরের। যে চিকিৎসকের কাছে চেক আপ চলছিল, তাঁর পরামর্শমতো আসন্নপ্রসবা প্রসূতিকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যান বাড়ির লোকজন। যাতে বেডের সমস্যা না-হয়, সেজন্য আগাম বলেও রাখা হয়েছিল সেখানে। সকাল ১০টা নাগাদ দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে রোগিণীকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে সাফ সাফ বলে দেওয়া হয় যে, ওই প্রসূতিকে ভর্তি নেওয়া যাবে না। কারণ তাতে অপরিণত সন্তান প্রসব হবে। ফলে সদ্যোজাত শিশুকে ‘নিকু’-তে রাখতে হতে পারে। কিন্তু তাদের কাছে নিকু নেই! একঘণ্টা ধরে চলে এই চাপানউতোর। এই ঘটনায় পরে তদন্ত করে কমিশন। তাতে কমিশনের কর্তারা জানতে পারেন, ওই বেসরকারি হাসপাতালের কোনও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞই ওই প্রসূতিকে প্রথমে দেখেননি। শেষে বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে ওই রোগিণীকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর, দুপুর ২টো নাগাদ প্রসূতিকে ভর্তি নেয় তারা। কিন্তু তাঁর অবস্থা ততক্ষণে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে গিয়েছিল। সেদিনই সন্ধ্যায় ১ কেজি ৯৫০ গ্রাম ওজনের একটি সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। কিন্তু তারপর থেকে সেই মায়ের অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে এবং সন্ধ্যায় তিনি মারাও যান।