নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে ১৬ মার্চ। দেশজুড়ে সাত দফার নির্বাচন শেষ হবে ১ জুন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল। ভোট ঘোষণার দিন থেকেই গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। যার অর্থ, নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার কোনও নতুন প্রকল্প ঘোষণা কিংবা কাজ শুরু করতে পারবে না। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ভোট চলায় নবান্নের আমলাদের একাংশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের ব্যাখ্যা, একে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবাস যোজনায় বঙ্গবাসীর হকের পাওনা ঝুলে রয়েছে। এছাড়াও আরও বিবিধ ক্ষেত্র ধরলে বাংলার প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা, যা আটকে রয়েছে কেন্দ্রের কোষাগারে। সংশ্লিষ্ট আমলাদের দাবি, এই বিরাট পরিমাণ টাকা আটকে থাকায় রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পের অর্থ কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে ১০০ দিনের মজুরি সহ আটকে থাকা প্রকল্পের পাওনা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার উপর গত বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালু রাখতে গিয়ে জলের মতো টাকা গলে যাচ্ছে। এদিকে, নির্বাচনী বিধির গেরোয় সমস্ত কাজ আটকে রয়েছে। গোটা রাজ্য প্রশাসনের কার্যত পঙ্গুদশা। আমলাদের ওই অংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক স্থিতি মোটেও ভালো নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাতার অসহযোগিতায় তা ক্রমে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লাগাতার বাজার থেকে ধার করে টেনেটুনে সরকার চালাতে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে প্রশাসনের। তার মধ্যে আড়াই মাস ধরে যাবতীয় সরকারি কাজকর্মে শিকল পড়ে যাওয়ায় আরও সমস্যা হয়েছে। রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিকল্প ক্ষেত্রে নজর দিতে হচ্ছে। ভোট মিটলেই এ সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।