কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শহরের পূর্ব আনন্দনগরের বাসিন্দা অভীককে বরাবরই জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানা বিষয় টানে। মহাকাশের রহস্যভেদ করতে চান তিনি। আর তাই পড়তে চান অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে। বাবা প্রবীরকুমার দাস জংশন রেলওয়ে হাইস্কুলের শিক্ষক। মা শ্যামলীদেবী গৃহবধূ। তাঁদের একমাত্র সন্তান অভীক ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। মাধ্যমিকে চতুর্থ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে শীর্ষে।
অভীকের কথায়, ‘কখনওই ঘড়ি ধরে, রুটিন করে পড়িনি। যখন ভালো লাগত, তখনই বই নিয়ে বসতাম। পড়া মুখস্থ করার চেয়ে বরাবর কনসেপ্টের উপর জোর দিয়েছি। আসলে গোটা প্রক্রিয়াটাকে আমি একটা অভ্যাসের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার কাছে পড়াশোনাটাই হ্যাবিট’।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর টিপস কী? অভীক বলছেন, ‘টানা পড়ে গেলে চলবে না। জোর দিতে হবে বিষয়বস্তু বুঝে পড়ার উপর। তাহলেই সাফল্য আসবে।’
বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অভীক অঙ্কে পেয়েছেন ১০০। বাংলা, ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও বায়োলজি প্রতিটি বিষয়ে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ৪৫৪। উচ্চ মাধ্যমিকে অভীকের ছ’টি বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। তবে এই সাফল্যের পিছনে বাবামায়ের অবদানকেই সবচেয়ে বড় বলে মনে করেন অভীক। কোহলির ভক্ত এই কৃতী ছাত্রের বেঙ্গালুরুতে অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। তাঁর প্রিয় লেখক ব্রিটেনের স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। শখ বলতে গল্পের বই পড়া আর ক্রিকেট খেলা দেখা।
বাবা প্রবীরবাবু ও মা শ্যামলীদেবী বলেন, ছেলে পরীক্ষায় ভালো ফল করবে, সেই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু একেবারে প্রথম হবে, ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।
ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিলচন্দ্র রায় বলেন, অভীক যে ভালো ফল করবে, এটা জানতাম আমরা। ওর মধ্যে অসাধারণ প্রতিভা আছে।