প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
এদিন মেধা তালিকায় প্রতীচীর নাম ঘোষণা হতেই কোচবিহার শহরের গোলবাগানে রায় তালুকদার বাড়িতে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। প্রতীচী জানান, তিনি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চান। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষিকাদের পাশাপাশি সাতজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। আরও জানিয়েছেন, প্র্যাক্টিক্যালের ক্ষেত্রে স্কুলের ল্যাব ও শিক্ষিকাদের বিশেষ সহায়তা পেয়েছেন। প্রতীচীর বাবা প্রণব রায় তালুকদার কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের শিক্ষক। মা ঝুমা সাহা কোচবিহারের খারিজা কাকরিবাড়ি দেশবন্ধু জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষিকা। প্রতীচীর কথায়, ‘রুটিন মেনে পড়তাম। অনেক রাত পর্যন্ত না জেগে ভোরে উঠে পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে। শুধু পড়াশোনা নয়, নিয়মিত শরীরচর্চার দিকে নজর রাখতাম। বাবার কথা, সবার আগে স্বাস্থ্য, তারপর পড়াশোনা।’
অন্যদিকে, চন্দননগরের স্নেহা ঘোষের বাড়িতে এদিন ছিল আরও একটু বাড়তি আনন্দ। কারণ, স্নেহা যে একাই উচ্চ মাধ্যমিকে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন, তা নয়। তাঁর যমজ বোন সোহা ঘোষও মেধা তালিকায় দশম স্থান দখল করেছেন। দু’জনের মধ্যে অসম্ভব মিল সব বিষয়েই। এদিন তাঁরা একসঙ্গে জানিয়েছেন, দু’জনেই অর্থনীতি নিয়ে পড়ে ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান। তাঁদের মা অপর্ণা ঘোষ বলেন, ‘দু’জনে সবসময় একসঙ্গে থাকে। তারা যে একসেঙ্গ মেধা তালিকাতেও জায়গা করে নেবে, ভাবিনি। ওদের সবটাই একসঙ্গে। সাফল্যও।’