নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০২৩ সালে বর্ষবরণের রাতে পার্টি করতে ভদোদরা থেকে গোয়ায় গিয়েছিল ব্যবসায়ী-পুত্র আদিল শেখ। সেখানেই এক অভিজাত হোটেলের ডিস্কোতে রূপান্তরকামী মহিলার সঙ্গে তার প্রথম আলাপ! যাকে বলে, লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট! রঙিন আলোর মূর্ছনায় বলিউডের গানের তালে তালে নৃত্যরতা তরুণীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় আদিল। সেই মুগ্ধতাই পরে প্রেমের আবেগে গড়ায়। শুক্রবার পাঁচতারা হোটেলের রুমে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিস। 
পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রথমে না জানলেও পরে প্রেমিকা রূপান্তরকামী বলে জেনে ফেলে আদিল। কিন্তু ততদিনে সে প্রেমে এতটাই ডুবে ছিল যে, আর পিছিয়ে আসার সুযোগ ছিল না। দু’মাস লিভ-ইন করার পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ে করতেই রূপান্তরকামী মহিলা এরাজ্যে তার ডেরা উলুবেড়িয়াতে আসে। সেখানে ২ মে তাদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে ছোটখাট বিষয়ে আদিলের সঙ্গে স্ত্রীর বচসা শুরু হয়। 
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, গত একমাস ধরে কলকাতার আরও কয়েকটি পাঁচতারা হোটেলে থাকছিল এই দম্পতি। এমনকী শুক্রবার মাঝরাতে বাইপাসের যে পাঁচতারা হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে, তার থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অন্য একটি পাঁচতারা হোটেল থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল এই দম্পতিকে। প্রগতি ময়দান থানা জানতে পেরেছে, ওই পাঁচতারা হোটেলেও মাঝরাতে অশান্তি বাধানোর অভিযোগে তাদের হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বাইপাস সংলগ্ন অপর পাঁচতারা হোটেলে স্ত্রীকে নিয়ে ওঠে আদিল। তদন্তে উঠে এসেছে, বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার মামলায় আদিলের সঙ্গে ধৃত টাইগার আসলে কাশ্মীরের বাসিন্দা। অধুনা মুম্বই 
নিবাসী টাইগার বন্ধুর দাম্পত্য কলহ মেটাতে ফোন পেয়ে মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছিল।