মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
গত মরশুমে কলকাতা লিগের আগে দায়িত্ব নিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দলকে খেতাবি লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন বিনো। এরইমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের চোট অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। তা সত্ত্বেও ছেলেদের থেকে সেরা পারফরম্যান্স নিংড়ে নেন তিনি। চোট সারিয়ে মহীতোষরা ফিরতেই যুব লিগে দারুণ ফল করে ইস্ট বেঙ্গল। প্রথমে পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগ, পরবর্তী সময়ে জাতীয় স্তরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে জায়গা করে নেয় তারা। বিনোর কথায়, ‘কোচ কুয়াদ্রাত সবসময় তরুণ ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করে থাকেন। তাঁর পরামর্শ মতোই আমরা এগিয়ে চলেছি। লক্ষ্য রিজার্ভ দল থেকে আইএসএলের জন্য ফুটবলার তৈরি করা।’ ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, ‘যুব স্তর থেকে সিনিয়র দলে যত বেশি সংখ্যক ফুটবলার তুলে আনাই আমাদের লক্ষ্য। সেই মতো বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাব যৌথভাবে কাজ করছে। এতে বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবল লাভবান হবে।’
অনূর্ধ্ব-১৭ ও ভেভেলপমেন্ট লিগের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৩ এআইএফএফ সাব-জুনিয়র লিগেও দারুণ ফল করেছে ইস্ট বেঙ্গল। জোনাল রাউন্ড ‘এ’তে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৫ লিগেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। পরিসংখ্যান বলছে, এই বছর অনূর্ধ্ব-১৭ দল থেকে আটজন ফুটবলার রিজার্ভ দলে সুযোগ পেয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেবজিৎ রায়, মহম্মদ আফজাল, হারু রয়, প্রাঞ্জল সাহা, দীপু সর্দার।
লাল-হলুদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
রিজার্ভ দল: কলকাতা লিগ রানার্স। সায়ন ব্যানার্জি, পিভি বিষ্ণু, আমন সিকেরা নিয়মিত আইএসএলে খেলছেন। আরএফডিএল জাতীয় স্তরে নক-আউটে পৌঁছয় দল।
অনূর্ধ্ব-১৭: ড্রিম স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের জোনাল রাউন্ড এ’তে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
অনূর্ধ্ব-১৫: এআইএফএফ জুনিয়র লিগের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনাল পর্বে জায়গা করে নেওয়া।
অনূর্ধ্ব-১৩: জোনাল রাউন্ড ‘এ’তে চ্যাম্পিয়ন। ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে টেক্কা লাল-হলুদের।