গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
এদিন আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে কয়লা পাচার কাণ্ডের শুনানি ছিল অভিযুক্ত জয়দেবের আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার মক্কেল অসুস্থ। তাই আদালতে আসতে পারেননি। সেই সময়েই সিআইডির এক অফিসার সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমারের হাতে একটি নথি তুলে দেন। এরপরই রাকেশ কুমার বলেন, সিআইডির একটি মামলায় তিনি ৩০ এপ্রিল থেকে পলাতক। বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই অসুস্থতার যুক্তি সত্য নাও হতে পারে। আমি এর বিরোধিতা করছি। বিচারক জানান, বিষয়টি যেহেতু এই মামলার বিচারাধীন নয়, তাই এনিয়ে কোন মন্তব্য করা যায় না। তবে এটা ঠিক, পরের শুনানির দিন প্রয়োজনে উনাকে অ্যাম্বুলেন্সে করেও নিয়ে আসতে হবে।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। আসানসোল পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সুডিহি মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। দীনেশবাবু জয়দেবকে মূল অভিযুক্ত করে একাধিক ব্যক্তির নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, জমি বিবাদের জেরে তাঁর বিরুদ্ধেও আগ্নেয়ান্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রুজু হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ৩০ এপ্রিল আসানসোল সিজেএম আদালত জয়দেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তারপর থেকেই জয়দেবের খোঁজে হন্যে সিআইডি। গত ৫ মে কয়লা পাচার কাণ্ডের মামলার শুনানি ছিল। সেদিনও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি জয়দেব। তাঁকে ধরতে সেদিনও এসেছিল সিআইডি টিম। এদিনও দলবল নিয়ে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পাতা ফাঁদে পা ফেলেননি জয়দেব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খনি অঞ্চলেও এখন কয়লার থেকে বেশি লাভজনক ব্যবসা জমি কারবার। আসানসোল, দুর্গাপুর অণ্ডালের মতো এলাকায় তাই নামে বেনামে অনেকেই এই কারবারে নেমে পড়েছে। তাই জমি নিয়ে লড়াই বাঁধছে প্রভাবশালীদের মধ্যে। শিল্পাঞ্চলের ভোটে বিভিন্ন সময়ে মাফিয়াদের প্রভাব দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুরের কয়লা কারবারি রাজু ঝাঁ যেভাবে প্রকাশ্যেই বিজেপি করতেন, জয়দেব কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটেননি। আবার তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল না বলেই খরব।