কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্রে বিজেপির জয়ে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বিধানসভা এলাকার মতো এগরায়ও ভোট কমেছিল তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এগরায় আশানুরূপ ফল হয়নি শাসকদলের। পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিবেকানন্দ, মঞ্জুশ্রী ও সর্বোদয় পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এসেছে। এগরা-১ ব্লকের জুমকি ও সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির কব্জায়। আবার এগরা পুরসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তৃণমূল। ১৪টি আসনের সাতটিতে জয়ী হয়ে নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করতে হয়েছে তৃণমূলকে। ভোটের নিরিখেও পুরসভা এলাকায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, গত বছর এগরারই খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যুর পর শাসক শিবির কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায়। খাদিকুল সাহাড়া পঞ্চায়েত অধীনে রয়েছে। সেই পঞ্চায়েতও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলও রয়েছে। যে কারণে পঞ্চায়েত ভোটে কোথাও কোথাও তৃণমূল প্রার্থীর হারের পিছনে অন্তর্ঘাত কাজ করেছে বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রের খবর। মূল কথা হল, এগরায় বিজেপি তলে তলে অনেকটাই প্রভাব বাড়িয়েছে, সংগঠনও বেড়েছে। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগতে চাইছে তৃণমূল। ভোট বাড়ানোর পাশাপাশি শাসকদলের লক্ষ্য, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে এগরায় তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করা। যাতে বিজেপিকে টেক্কা দেওয়া যায়। জানা গিয়েছে, এর আগে রাজ্য সভাপতি বৈঠকে পুরসভা ও এগরা-২ ব্লকের দিকে দলের নেতাদের প্রচারে বিশেষভাবে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। মান-অভিমান ও দ্বন্দ্ব ভুলে নবীন প্রবীণ সকলকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটের লড়াইয়ে শামিল হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এগরার বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি বলেন, বিধানসভা ভোটে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে তৃণমূলের লিড ছিল এবং বিজেপির মাইনাস ছিল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেহেতু ভোট ভাগাভাগি হয়, তাই কয়েকটি পঞ্চায়েতে আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। এবার যে ব্লক ও পঞ্চায়েতে দল পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে ভালো ফল করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করছি, এবার এগরা বিধানসভা এলাকায় বড় অঙ্কের লিড দেবে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রচার শুরু হয়েছে। প্রচারে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।