অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বড়ঞা বিধানসভা এলাকা বরাবরের জন্য আরএসপির শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। সেখানে টানা সাতবার আরএসপির বিধায়ক নির্বাচিত হয়। কিন্তু, ২০১১ সালে সেখানে বামফ্রন্ট বিধায়কের তক্তা পাল্টে যায়। সেবার কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বড়ঞার বিধায়ক নির্বাচিত হন। পরে ২০১৬ সালেও ফের প্রতিমাদেবী কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রতিমাদেবী ওইসময় অধীরবাবু ছাড়া কিছুই বুঝতেন না বলে বাসিন্দাদের দাবি। অধীরবাবুকে ‘দাদা’ বলে ডাকতেন। বড়ঞায় অধীরবাবু একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু, ২০২১ সালে তিনি দলের টিকিট পাননি। বদলে বহরমপুরের বাসিন্দা শিলাদিত্য হালদার ভোটে দাঁড়িয়ে মাত্র ১২ হাজার ২৬০টি ভোট পেয়েছিলেন। যা শতাংশের হিসেবে মাত্র ৬.৯৩। এই ফলাফলে বড়ঞা বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেস বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় ৩৬ জন কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে একজন পঞ্চায়েত প্রধান সহ আরও দু’জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে ওই বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেস বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দাবি।
এদিকে প্রাক্তন বিধায়ক প্রতিমাদেবী অধীরবাবুর সমর্থনে প্রচারে শামিল না হওয়ায় এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, একসময় অধীরবাবু ছাড়া কিছুই বুঝতে চাইতেন না প্রতিমাদেবী। কিন্তু সেই বিধায়কের এখন মোহভঙ্গ হয়েছে। অধীরবাবুকে তিনি নিজের দাদার চেয়েও ভালো বাসতেন। অথচ লোকসভা ভোটের সময় সেই দাদার পাশেই দাঁড়ালেন না।
শুক্রবার অধীরবাবু প্রাক্তন বিধায়কের গ্রাম মুনিয়াডিহিতে হুড খোলা গাড়িতে ভোট প্রচার করেন। এমনকী প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ির সামান্য দূরে দিয়ে প্রচার করেন। অথচ দু’জনের মধ্যে দেখাও হল না। বলা ভালো, কেউই দেখা করার চেষ্টা করলেন না। প্রতিমাদেবী বলেন, আমি কংগ্রেসের সঙ্গেই আছি। দাদাকে ভালোবাসি। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারছি না। দলের লোকজন আমাকে বহুবার ডেকেছেন। কিন্তু, কয়েকমাস ধরে আমি অসুস্থ তাই কোথাও যেতে পারছি না।
ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, অধীরবাবু অসুস্থতার খবর পেলে বিরোধী দলের লোকজনের বাড়িতেও ছুটে যান। তাহলে এক্ষেত্রে কেন তিনি গেলেন না? তাছাড়া প্রতিমাদেবী একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করেন। সেখানে তিনি নিয়মিত যাতায়াত করেন।
কংগ্রেসের বড়ঞা ব্লক সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, প্রাক্তন বিধায়ক প্রতিমাদেবী আমাদের দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। উনি প্রকাশ্যে না হলেও দাদার হয়ে প্রচার করছেন। তবে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তৃণমূল কংগ্রেস করেন বলে শুনেছি। সেটা তাঁর কাছে কোনও বাধা হচ্ছে কি না জানি না।