কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
করিমপুর ২ ব্লকের মোট ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি পঞ্চায়েত দীঘলকান্দি, নন্দনপুর, নারায়ণপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ৭৮ নম্বর তেহট্ট বিধানসভা অর্থাৎ কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীনে। বিগত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে নারায়ণপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বড় ভূমিকা পালন করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দুই পঞ্চায়েত থেকেই মহুয়া মৈত্র সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও নারায়ণপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ভোট ছিল প্রায় ১০ হাজার, বিজেপি প্রায় ১২০০ এবং নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৮৭২৭ ভোট ও বিজেপি মাত্র ৬৮১টি ভোট পেয়েছিল। একই ভাবে গত পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলেও দেখা গিয়েছে নারায়ণপুর ১ পঞ্চায়েতের ২০টি আসনেই এবং নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েতের ১৮টির মধ্যে ১২টি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়। এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, উন্নয়নের কারণেই বিরোধীদের পিছনে ফেলে তৃণমূল এত বিপুল মার্জিনে এগিয়ে রয়েছে। তেহট্ট বিধানসভা এলাকার তৃণমূলের করিমপুর ২ ব্লক সভাপতি কার্তিক মণ্ডল বলেন, দীঘলকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও তৃণমূল প্রায় আড়াই হাজার ভোটে লিড দেয়। তবে নারায়ণপুর সহ এই চারটি পঞ্চায়েত থেকে এবারের ভোটে ২০ হাজারের বেশি ভোটে লিড পাওয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। একসময় ওই দু’টি পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে ছিল। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় উন্নয়ন শুরু হয়। বিশেষ করে মহুয়া মৈত্র সাংসদ হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে এলাকার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল সব রকম সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এলাকার মানুষ পেয়েছেন। কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী সর্বোপরি মা বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় উপকৃত হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে এলাকার কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এখন তৃণমূলের শক্ত ঘাটি হয়েছে নারায়ণপুর। করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সাজিজুল শাহ মিঠু জানান, বছর কুড়ি আগেও গ্রামের রাস্তা বা বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। এখন পাড়ার সমস্ত রাস্তা পাকা হয়েছে। সিপিএমের মদতে এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্ম লেগে থাকায় অশান্ত পরিবেশে মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর ছিল। এখন উন্নয়নের জোয়ারে এগিয়ে চলেছে নারায়ণপুর এলাকা। এবারের ভোটে শুধুমাত্র এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ ২০ হাজারের বেশি মার্জিন দিয়ে মহুয়া দিদিকে সংসদে পাঠাবেন।