যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের কসবা মহাসো এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ধরের সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় সীমা ধরের। তারপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত স্বামী। গত দু’বছর স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর অত্যাচার বাড়তে থাকে। এরপর সীমা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৭ এপ্রিল সীমাকে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি প্রাণে মারার চেষ্টা করে বিশ্বজিৎ। সীমা ফের রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাকে কোর্টে তোলা হলে জামিনে মুক্তি পায়।
এরপর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ ফের সীমা ও তাঁর মা শুক্লাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। সীমা ২৩ এপ্রিল আবার রায়গঞ্জ থানার দারস্থ হন। স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ২৮ এপ্রিল নিজের বাড়ি থেকে রাতেই সীমা নিখোঁজ হয়ে যান।
২৯ এপ্রিল মহিলা থানায় শুক্লা মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরও মেয়ের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় গত ১৪ মে পুলিস সুপারের অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
শুক্লার অভিযোগ, দু’সপ্তাহ মেয়ের খোঁজ নেই। বারবার পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। আমার মেয়েকে পাচার করেছে, নয়তো মেরে ফেলেছে বিশ্বজিৎ। অভিযুক্তের সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক মেয়ে মানতে চায়নি বলেই অশান্তি শুরু হয়। আমার জামাইয়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্টও পাওয়া গিয়েছে। থানায় অভিযোগ করায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী মুখ বাঁধা অবস্থায় বাড়িতে অচেনা ব্যক্তিদের পাঠানো হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৪ মে এসপি অফিস এবং রায়গঞ্জ মহিলা থানায় ফের অভিযোগ করেছি।
এই ঘটনায় পুলিস তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সানা আক্তার। তিনি বলেন, সীমা ধরের স্বামী বিশ্বজিৎ ধরকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে সে মুক্তি পেয়েছে। সীমা নিখোঁজ রয়েছে। সে বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে।