যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডেপুটি পুলিস কমিশনার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওঁর নামে একটি নকল ফেসবুক আইডি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার সকালে ওই নকল আইডি তৈরি করা হয়েছে। ওদিন থেকেই বিডিও বিশ্বজিৎ দাসের নামে সংশ্লিষ্ট আইডি থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিক সহ সাধারণ মানুষের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোও শুরু হয়। সাইবার প্রতারকরা ফেসবুকের মেসেঞ্জারে বিডিও’র প্রশাসনিক মহলের বন্ধু সহ অন্যদের কাছে ব্যবহৃত আসবাবপত্র বিক্রির আর্জি জানায় এবং পরিবহণ খরচ বাবদ আগাম টাকা চাওয়া শুরু করে।
মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ওই নকল আইডি থেকে আমার বয়ানে মেসেঞ্জারে বলা হচ্ছে, সেনায় কর্মরত আমার এক বন্ধু কিষাণগঞ্জে কর্মরত। তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন। ওঁর যে দামি আসবাবপত্র আছে সেগুলি কম দামে বিক্রি করতে চান। তবে ফার্নিচারের জন্য অগ্রিম টাকা দিতে হবে না। শুধু ফার্নিচারগুলি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম গাড়িভাড়া দিতে হবে। ফার্নিচার পাঠিয়ে দেওয়ার পর তার দাম দিতে হবে। বিষয়টি আমার নজরে প্রথম আনে কুমারগঞ্জের বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস।
শ্রীবাসবাবু বলেন, আমি মাটিগাড়ার বিডিও পদে ছিলাম। বিশ্বজিৎ দাসের প্রোফাইল থেকে এমন মেসেজ পেয়ে প্রথমে অবাক হয়ে যাই। পরে ওঁর কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তারপরেই গোটা ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যায়।