অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই দু’দফায় মহানন্দার জলের নমুনা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করেছে পিএইচই। আগের দু’বারের পরীক্ষায় মহানন্দার জল সাফল্যের সঙ্গেই পাশ করেছে। তবুও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুরসভা। তাই মহানন্দার জল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আরও পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে পিএইচই।
গজলডোবায় তিস্তার বাঁধের কাজের জন্য শুক্রবার থেকে তিস্তার জল সরবরার বন্ধ রয়েছে। শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য পুরসভা তিস্তা থেকে যে জল লিঙ্ক ক্যানেলের মধ্যদিয়ে এনে পরিস্রুত করে সরবরাহ করে সেই জলের ভাঁড়ারে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ক্যানেলে এখনও কিছু পরিমাণ তিস্তার জল রয়েছে। সেই জল দিয়ে আগামী তিন-চার দিন শিলিগুড়ির জনসাধারণের পানীয় জলের অভাব পূরণ করা যাবে। কিন্তু তারপরেই সঙ্কট দেখা দেবে বলে মনে করছে পিএইচই ও পুরসভা।
সেই সঙ্কট কালে পানীয় জলের অভাব দূর করতে তিস্তার জলের বদলে মহানন্দার জলকে বিকল্প হিসেবে ভাবছে পুরসভা। সে কারণেই তিস্তার জলের পরিবর্তে মহানন্দার জল সরবরাহের আগে নমুনা ফের যাচাই করে নিতে চাইছে পিএইচই ও পুরসভা। শনিবার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পিএইচই এবং সেচদপ্তরের আধিকারিকরা ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজ ও গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজের বাঁধ পরিদর্শন করেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ফুলবাড়ির মহানন্দা ব্যারেজে গিয়ে মেয়র পিএইচই’র কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খবরাখবর নেন।
গৌতম দেব বলেন, তিস্তার জল দিয়ে আগামী কয়েকদিন জল সরবরাহ করা যাবে। আশা করছি জলের সঙ্কট হবে না। কারণ আমরা তিস্তার জল শেষ হয়ে গেলে মহানন্দার জল দিয়ে সঙ্কটের মোকাবিলা করব। তবে মহানন্দার জল বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে তার নমুনা আমরা পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডে পাঠাচ্ছি। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই মহানন্দার জল পরিস্রুত করে পুর এলাকায় সরবরাহ করা হবে। আগেও মহানন্দার জল দু’বার পরীক্ষা করা হয়েছে। দু’বারেই রিপোর্ট ভালো এসেছে। তথাপি চূড়ান্তভাবে আরও একবার সেই জলের নমুনা যাচাই করে নেওয়া হবে।