কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ভগবান বিরসা মুণ্ডার জন্মস্থান এই কেন্দ্রেরই উলিহাতুতে। নরেন্দ্র মোদি এসে মাথা ঠেকিয়ে গিয়েছেন তাঁর জন্ম ভিটেতে। যা অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী করেননি। বিজেপির থেকে আদিবাসীদের আর কেউ বেশি সন্মান করে না—এই প্রচারকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোটের কংগ্রেস প্রার্থী কালীচরণ মুণ্ডাকে হারাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। উল্টোদিকে, কংগ্রেসের দাবি, শুধু সন্মান দিয়ে পেট ভরে না। আদিবাসীদের জন্য খাদ্য বস্ত্র পাকা ছাদ এবং চাকরি কোথায়? এই প্রশ্নগুলোকেই আমজনতার দরবারে নিয়ে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’। প্রায় ৭৩ শতাংশ আদিবাসী ভোট থাকা ঝাড়খণ্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে ইন্ডিয়া বনাম ভাজপা’র ওয়ান-ইজ-টু-ওয়ান ফাইটে জনতা পার্টি আসছে কোথা থেকে?
ইন্ডিয়া’র জন্য না হলেও, জনতা পার্টি প্রার্থী দেওয়ায় ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাহলে কি বিজেপির ভোটে কাটবে জনতা পার্টি? বিজেপি পার্টি অফিসের আলোচনার নির্যাস—তাদের ভোট কাটতে অপর্ণা হংসকে প্রার্থী করিয়েছে ইন্ডিয়া জোটই। আর তাই প্রচারে কংগ্রেস বা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা কেউই আক্রমণ করছে না জনতা পার্টিকে।
সেনা জওয়ান হওয়ার উন্মাদনা ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্রদের বরাবরের। বহু আদিবাসী যুবক রয়েছেন সেনাতে। পুলওয়ামার আবেগকে কাজে লাগয়ে ২০১৯’এ বৈতরণী পার করেছিল বিজেপি। তবুও কষ্টসাধ্য লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১৪৪৫ ভোটে জিতে সংসদের প্রবেশাধিকার জোটাতে হয়েছিল অর্জুনকে। এই লোকসভা কেন্দ্রের ছটি বিধানসভার মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল শুধু মাত্র খারসাওয়ান ও তামার বিধানসভায়। এখন অবশ্য দুটি কেন্দ্রেই ইন্ডিয়া জোটের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক। ফলে তরপা, খুঁটি, কোলেবিরা ও সিমডেগা কেন্দ্রের পাশাপাশি এই দুই কেন্দ্র থেকেও কংগ্রেসই লিড পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। রাষ্ট্রপতি করা হলেও, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি দ্রৌপদী মূর্মুকে। এই ধরনের একাধিক কারণে আদিবাসীরাও বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে সারনা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়, দু’পক্ষই এবার ঝুঁকেছে ইন্ডিয়া’র দিকে। এখন জনতা পার্টি প্রার্থী দেওয়ায় কংগ্রেসের থেকে বিজেপির ভোট কাটার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।