প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে শেষবার টাইপিস্ট নিয়োগ করা হয় ২০০৫ সালে। বিলুপ্ত টাইপিস্ট পদের জায়গায় লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্টের (এলডিএ) নতুন পদ সৃষ্টির দাবি উঠেছে কর্মিমহল থেকে। তাতে সরকারি অফিসে এই পদে বহু নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
টাইপিস্ট পদটিকে ডায়িং ক্যাডার হিসেবে ঘোষণা করার সময় রাজ্য অর্থদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ফাঁকা পদগুলিকে এলডিএ-তে পরিবর্তিত করার কথা বলা হয়। কিন্তু টাইপিস্টদের অন্যান্য কাজে, বিশেষ করে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে সঙ্গে যুক্ত করা হলেও তাঁদের পদটি একই রয়ে গিয়েছে।
সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতারা জানান—সচিবালয়, ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক অফিসগুলি মিলিয়ে হাজারখানেক বেসিক গ্রেড টাইপিস্টের পদ রয়েছে। সেগুলি এখন পুরোপুরি শূন্য। কারণ বেসিক গ্রেডের পুরনো কর্মীদের সকলেই পদোন্নতি পেয়ে টাইপিস্ট গ্রেড ওয়ান বা সুপারভাইজার পদে চলে গিয়েছেন। সরকারি অফিসে টাইপিস্টদের তিনটি পদই আছে। বেসিক গ্রেডে একজন টাইপিস্ট কাজে যোগ দেওয়ার পর কর্মজীবনে সর্বাধিক দুটো পদোন্নতি পান। টাইপিস্ট গ্রেড ওয়ান পদের কর্মীদের আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (ইউডিএ) পদ দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে কর্মিমহল থেকে। তাদের বক্তব্য, বেসিক গ্রেড টাইপিস্টের যেসব শূন্যপদ এখনও বিলুপ্ত হয়নি, সেগুলিকে এলডিএ পদে এখনই রূপন্তরিত করে নতুন কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব।