প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কিন্তু মাত্র ১০০ টাকা! প্রতিশ্রুতির এমন বহর দেখে মানুষ হাসাহাসি করছে বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন উলুবেড়িয়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেন শাহ। সেখানেই তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মতো একটি জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যকে কোনওভাবেই অস্বীকার করতে পারছে না তৃণমূল-বিরোধীরা। তাই আগে নিন্দামন্দ করলেও এখন তাঁদের প্রকল্প অব্যাহত রাখা এবং সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা এই প্রকল্পকে আগেই প্রচারে এনেছিলেন। এবার সেই পথে হাঁটলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এ প্রসঙ্গে আগেই বলে দিয়েছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কখনও বন্ধ হবে না। আমার-আপনার করের টাকায় দেওয়া হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ মোদিজির বিভিন্ন যোজনার নাম দিদি বদলে দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘নারেগা এবং আবাসে মোদি সরকার এক টাকাও দেয়নি। কেন্দ্রের সরকারের কাছে রাজ্যের পাওনা ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই অবস্থায় অমিত শাহ ১০০ টাকা ঘুসের প্রস্তাব দিয়ে বাংলার মহিলাদের অপমান করছেন।’
এছাড়া, রামমন্দির, সিএএর মতো বিজেপির পছন্দের বিষয়গুলি ঘুরেফিরে এসেছে শাহের বক্তব্যে। এদিনও তিনি জোর গলায় দাবি করেছেন, ‘মমতা না চাইলেও সিএএ হবে। মমতা, রাহুলবাবা দু’জনেই সিএএ চাইছেন না। কিন্তু ওঁরা রুখতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনে দিদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উনি যাননি। আসলে দিদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভয়ে যাননি। কারণ, ওরাই দিদির ভোটব্যাঙ্ক।’ দুর্গাপূজোয় এখানে সরকারি ছুটি দেওয়া হয় না কিন্তু রমজানে ছুটি দেওয়া হয় বলে ভরা সভায় দাবি করেন তিনি।
তখন অবশ্য সভায় হাজির অনেককেই হতবাক হয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে দেখা যায়। তাঁর আরও দাবি, ইতিমধ্যে মোদিজি ২৭০টি সিট পেয়ে গিয়েছেন। সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিওগুলি ‘ফেক’ বলেও দাবি করেন তিনি।