কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে খড়্গপুর শহরের ধ্যান সিং ময়দানে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের হয়ে প্রচার করার কথা ছিল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। সভা শুরুর অনেকক্ষণ আগেই কলাইকুণ্ডায় হেলিকপ্টারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, সভা ভরেনি বলে সভাস্থলে আসতে কিছুটা সময় নেন অশ্বিনী। বিজেপি নেতাকর্মীদের লোক নিয়ে আসার আরও কিছুক্ষণ সময় দেন তিনি। ততক্ষণে নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। তারপর ৪টে ৪০ নাগাদ সভাস্থলে আসেন। ৪টে ৫৩ মিনিটে বক্তব্য রাখতে ওঠেন। ১৩ মিনিটেই বক্তব্য শেষ!
এদিনের সভামঞ্চ থেকে মমতাকে ‘ঝুটিদিদি’(মিথ্যাবাদী) বলে কটাক্ষ করেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, এক সময় ঝুটিদিদি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন যখনই সময় পেতেন, শিলান্যাস করতেন। তারপর সব ভুলে যেতেন। কিছুটা সুর চড়িয়ে বলেন, আসলে মানুষের সমস্যা নিয়ে তাঁর কিছু যায় আসে না। মানুষের জন্য তিনি কাজ করেন না। তিনি শুধু নিজের পরিবার ও ভাইপোর জন্য কাজ করেন। এরপরেই মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে দেখুন। তিনি দেশের ১৪০কোটি মানুষের জন্য কাজ করেন। মানুষের বাড়িতে শৌচলয় ছিল না। গরিব মহিলাদের উনুনে রান্না করে চোখের সমস্যা হতো। মোদি এমন সব কাজ করেছেন। গরিব মানুষের সমস্যা দূর হয়েছে। আসলে মমতা গরিবি দেখেননি। মোদি দেখেছেন।
রেলমন্ত্রীর পাল্টা তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া বলেন, মোদি দেশের মানুষের জন্য নয়, যা করছেন বড় শিল্পপতিদের জন্য করছেন। মানুষের কথা ভাবেন একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যা করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। যদিও বিজেপির জেলার সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, রেলমন্ত্রী আসতেই মাঠ ভরে যায়।