গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাত্রিবাস করেছেন রাজভবনে। তাঁর আসার কয়েক ঘন্টা আগে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী যিনি খোদ রাজভবনে থাকছেন, তিনি কথায় কথায় নারী ক্ষমতায়নের কথা বলেন. আর তার আসার আগেই একী ঘটনা! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক মহিলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাচ্ছেন। ছিঃ! তাহলে কি রাজ্যপালের ‘পিস রুম’ এখন নারী সম্মানের ‘পিস হেভেন’ হয়ে গিয়েছে? তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পুরোপরি সাজানো বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। বঙ্গ বিজেপির অভিযোগ, একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। সেই কারণেই রাজ্যপালকেও ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
পুলিসের কাছে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারই প্রথম নয়। এর আগে ২৪ এপ্রিল ওই মহিলা কর্মীকে নিজের অফিসে ডেকে বিভিন্ন আলোচনার পর তাঁকে রাজ্যপাল ‘কুপ্রস্তাব’ এবং ‘গায়ে হাত’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে কেন ওই দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা কর্মী? অভিযোগকারিনীর দাবি, তিনি ২০১৯ সাল থেকে রাজভবনের ইপিবিএক্স বিভাগে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। ১৯ এপ্রিল রাজ্যপাল তাঁকে স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেখা করতে বলেন বলে অভিযোগ। সেই কারণেই তিনি ২৪ এপ্রিল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন। ওই দিন কোনও রকমে রাজ্যপালের হাত সরিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন বলেও অভিযোগকারিনী পুলিসকে জানিয়েছেন বলেও সুত্রের খবর। চাকরি যাওয়ার ভয়ে সেবার চুপ করে থাকলেও, এদিন তিনি প্রতিবাদী হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এদিন তাঁকে ফের ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তবে এবার একা যাওয়ার বদলে, তিনি তাঁর সুপারভাইজারকে সঙ্গে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে সুপারভাইজারকে কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। অভিযোগকারিনীকে রাতে ফোন করার প্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ। এই প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায়, রাজ্যপাল মহিলার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন অভিযোগই উঠেছে। ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী প্রথমে রাজভবনের পুলিস আউটপোস্টে অভিযোগ জানান, পরে যান থানায়। কলকাতা পুলিসের এক সূত্রে খবর, সংবিধান অনুযায়ী, কর্মরত কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে কলকাতা পুলিস।