গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সাম্যপ্ৰিয়র বাবা সুনীতিপ্রিয় গুরু পুরুলিয়া জেলা স্কুলেরই বাংলার শিক্ষক। মা অর্পিতা গুরু গোবিন্দপুর হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা। স্কুল থেকে বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে আসছে সাম্যপ্রিয়। তাই সে মেধা তালিকায় থাকবে বলে আশা করেছিলেন স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি পরিবারের লোকজন। টিভিতে তার নাম ঘোষণা হতেই পরিবারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। চলে মিষ্টিমুখ। শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে ভিড় করেন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শিক্ষকরা।
সাম্যপ্রিয় বাংলা, গণিত ও জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূগোলে ১০০ এবং ইংরেজিতে ৯৫ নম্বর পেয়েছে। সাম্যপ্রিয় বলে, ভালো রেজাল্ট হবে আশা করেছিলাম। তবে একেবারে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হব ভাবিনি। দিনে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা পড়তাম। তবে কোনও বিষয়ে আরও একটু পড়ার বেশি দরকার হলে রাত জেগেও পড়া শেষ করতাম। গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের সবরকম সাহায্য পেয়েছি। তাছাড়া বাড়িতে মা-বাবা সবসময় গাইড করেছেন। ভৌত বিজ্ঞান প্রিয় বিষয় হলেও বড় হয়ে জেঠুর মতো চিকিৎসক হতে চাই।
মেধাবী সাম্যপ্রিয়র প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। সেই সঙ্গে ক্রিকেট ও দাবা খেলতেও সে ভালবাসে। পরীক্ষার কিছুদিন আগে বাইরে খেলা না হওয়ায় ব্যাট বল নিয়ে সে একাই ছাদে খেলত বলে জানিয়েছে। আগে ধোনিকে তার বেশি ভালো লাগত। এখন তরুণ প্রজন্মের শুভমন গিল তার আইকন।
সাম্যপ্রিয়র মা অর্পিতাদেবী বলেন, ছেলে নিজেই পড়ার রুটিন বানিয়েছিল। ওকে কোনও কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। বাবা সুনীতিপ্ৰিয় গুরু বলেন, গান শোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা ওর নেশা। বিকেল ৫টা বাজলেই খেলতে চলে যেত। ২০১৪ সালের পর পুরুলিয়া জেলা স্কুল ফের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক হিসেবে খুবই ভালো লাগছে।
পুরুলিয়া জেলা স্কুলের টিআইসি সুজিত খাঁ এবং খেলার শিক্ষক নুরউদ্দিন হালদার বাড়িতে গিয়ে সাম্যপ্রিয়কে শুভেচ্ছা জানান। সুজিতবাবু বলেন, স্কুলের এবারের মাধ্যমিকের ব্যাচ খুবই ভালো ছিল। সাম্যপ্রিয় বরাবরই স্কুলে ভালো রেজাল্ট করেছে। তবে ও ছাড়াও আরও কয়েকজনের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার আশা করেছিলাম।
নুরউদ্দিন সাহেব বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাতেও সমান আগ্রহ সাম্যপ্ৰিয়র। দাবা খেলায় রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় ও সাফল্য পেয়েছে। ও অনেক বড় হোক।