প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সিপিএম প্রার্থী বলছিলেন, ‘সন্ধ্যায় দলের তরফে পরের দিনের কর্মসূচির তালিকা হাতে পাই। অ্যালার্ম দিয়ে রাখি। ঠিক পৌনে সাতটায় ঘুম থেকে উঠে সাড়ে সাতটায় প্রচারে বেরিয়ে যাই। এভাবেই চলেছে গত দু’মাস।’ সায়রা একজন মা’ও বটে। সেকথা উঠতেই তিনি বললেন, ‘একদম মেয়ের খোঁজখবর নিতে পারছি না। এমন অবস্থা যে গাড়িতেই ব্রেকফাস্ট করছি।’ ব্রেকফাস্টে কী থাকে? ‘একেবারেই হাল্কা খাবার। পোহা, উপমা এসব। দুপুরে বাড়িতেও হাল্কা খাবার। ভাত, সব্জি আর টক দই। সঙ্গে ফলের রস’, বললেন সায়রা।
বুধবার তিনি যখন হরিদেবপুরের রাস্তায় প্রচার করছিলেন, এক বৃদ্ধ এসে তাঁকে বলে গেলেন, ‘আপনাকে না জেতাতে পারলে আমাদেরই ক্ষতি।’ এক মহিলাকে সায়রা বলেন, ‘এবার আমাদের সমর্থন করবেন।’ মহিলার প্রত্যুত্তর, ‘আপনাদেরই সমর্থন করি।’ একটা সময় হরিদেবপুর এলাকায় তাঁর প্রচার গাড়ি আর এগতে পারছিল না। কারণ রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সায়রা-ঐশীরা সেখানে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে এগিয়ে গেলেন। দু’পাশে লম্বা ঘাস, মাঝখান দিয়ে মাটির রাস্তা। কলকাতা শহরের মধ্যে এমন রাস্তা আছে দেখে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলল নিবিড় প্রচার। সায়রা চললেন বন্দর এলাকায় প্রচারের জন্য। যাওয়ার আগে বলে গেলেন ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, এই কেন্দ্রে আমার মতো এত পরিশ্রম কোনও প্রার্থী করেননি। আশা করি, এর ফল পাব।’