প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিকে, এই ঘটনায় বহু যাত্রী তীব্র হয়রানির শিকার হন। এদিন সকাল ১১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ মেট্রো রেক নেতাজি ভবন স্টেশনে ঢুকতেই ওই যুবক মরণঝাঁপ দেন। ফলে সকালের ব্যস্ত সময়ে থমকে যায় মেট্রো চলাচল। যাত্রীদের অভিযোগ, মাঝপথে মেট্রো দীর্ঘ সময় আটকে থাকলেও রেলের তরফে কোনও ঘোষণা হয়নি। এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। নিরুপায় হয়ে অনেক যাত্রী স্টেশন থেকে বেরিয়ে যান। গন্তব্য পর্যন্ত না পৌঁছনোয় টোকেন জমা করে টাকা নিতে নেতাজি ভবন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। তবে অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ ছিল। অনেকক্ষণ পর মহানায়ক উত্তমকুমার অর্থাৎ টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ এবং ময়দান থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পরিষেবা চালু হয়। তবে টালিগঞ্জ থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। অবশেষে এদিন দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয় বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি।
যদিও যাত্রীদের বক্তব্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুপুর দেড়টা বেজে যায়। পরপর অনেক মেট্রো বাতিল থাকায় প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ে। এরপর মেট্রো পরিষেবা চালু হলে যাত্রীদের চাপে দমবন্ধ হওয়ার মতো আবহ তৈরি হয়। বিরক্ত যাত্রীদের বক্তব্য, মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়মে পরিণত হয়েছে। কখনও যাত্রী প্রাণে বেঁচে যাচ্ছেন, আবার কখনও তাঁর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তার জেরে মেট্রো বন্ধ থাকছে অনেকক্ষণ, যাত্রীদের তীব্র দুর্ভোগ হচ্ছে।
সিসি ক্যামেরার নজরদারি থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্মের দুই মাথায় রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) মোতায়েন করেও মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা রোখা যায়নি। এদিন অনেক পড়ুয়া ও অভিভাবক তীব্র সমস্যার শিকার হন। হাসপাতালে যেতে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। আর মেট্রো বন্ধ থাকার সুযোগে অটো, ট্যাক্সি যাত্রীদের থেকে বাড়তি দর হাঁকে।