প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
চার দফা ভোট শেষ হয়েছে বাংলায়। তাতে হাল যে খুব একটা ভালো নয়, তা বুঝতে পেরেই বিভাজনের তাস খেলতে শুরু করেছে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। বাদ গেলেন না স্বয়ং অমিত শাহও। মঞ্চে উঠেই হাতিয়ার করলেন ধর্মকে। বললেন, বাংলা এখন মোল্লা-মাদ্রাসা-মাফিয়ার ভূমিতে পরিণত হয়েছে। জেহাদিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। পরক্ষণেই ঝুলি থেকে বের করেন সিএএ’র টোপ। বলেন, বাংলায় শরণার্থীদের আমরা নাগরিকত্ব দেব। আমি মমতাদিদি এবং আপনার ভাইপোকে বলে যাচ্ছি, যত পারেন জোর করুন, সিএএ হবেই। ফের বিভাজনের রাস্তায় হেঁটে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ইমাম, মোল্লা, মাদ্রাসায় সরকারি কোষাগার থেকে টাকা দেওয়ার দরকার কি আছে? এখানে ঈদে ছুটি দেওয়া হয়। তবে দুর্গা পুজোয় দ্বিচারিতা কেন?
শাহের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় বিজেপি সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে শাহ টেনে আনেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, কাশ্মীরে আর অশান্তি হয় না। বরং এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে স্বাধীনতার জন্য স্লোগান ওঠে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি হয়। মোদি জমানায় এটাই সাফল্য। তাঁর কথায় এসেছে স্থানীয় সমস্যার কথাও। বলেন, শ্রীরামপুরের রাস্তা জলে ভরে যায়। নালার সংস্কার হয় না। সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে সামনে এসেছে সভা ফাঁকা থাকার প্রসঙ্গ। স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যেও তা নিয়ে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।