কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
জেলা নির্বাচনী দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার জন্য মোট ২১ জন মনোনয়ন জমা করেছেন। প্রত্যেকেরই মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে। তারপর দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর পাশাপাশি আরও দু’জন বিশ্বজিৎ দাস প্রার্থী হয়েছেন। একজনের বাড়ি হরিণঘাটায়। অন্যজনের বাড়ি গাইঘাটাতে। হরিণঘাটার বিশ্বজিৎ দাস পেশায় একজন ডেকোরেটর্স ব্যবসায়ী। নির্বাচন কমিশন তাঁকে এসি প্রতীক দিয়েছে। তিনি তাঁর মতো করে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনওদিন সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলাম না। আগামী দিনে কী হবে, জানি না। তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। ভোটে লড়ছি জেতার লক্ষ্য নিয়েই।’ গাইঘাটার বিশ্বজিৎ দাস অবশ্য সিপিএমের দীর্ঘদিনের সদস্য ছিলেন বলে খবর। সম্প্রতি তিনি পার্টির সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, একবার অন্তত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই মতো প্রার্থী হয়েই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। আলমারি চিহ্নে লড়ছেন তিনি। প্রচারের কাজও শুরু হয়ে দিয়েছেন। এই বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের হয়ে লড়াই করেছি। একবার লোকসভায় লড়ার ইচ্ছে ছিল। তাই এবার নির্দল হিসেবে লড়ছি। রাজ্যে যা পরিস্থিতি, তাতে পরিবর্তন প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে বনগাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। শুনলাম, এর মধ্যে একজন সিপিএমের নেতাও নাকি রয়েছেন। এবার তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাম-বাম তত্ত্ব। তবে বিজেপি যত চক্রান্ত করুক, কোনও লাভ হবে না। এবার বনগাঁয় পদ্মফুল নয়, জোড়াফুল ফুটবে।’
পবনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল পাল্টা বলেন, ‘সবেতেই তৃণমূল এখন বিজেপিকে দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূলই বরং দেখুক, এঁরা ওঁদের কারও প্রার্থী কি না! বিজেপি এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।’