প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
এই দু’দিন মিলিয়ে জেলায় প্রায় ৬৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে ভালো হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত গত মাসে যদি হতো, তাহলে মাঠে-ঘাটে থাকা প্রচুর পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারত। তার পরিবর্তে বৃষ্টিতে এখন পাট ও গ্রীষ্মকালীন সব্জি চাষে সুবিধা হবে কৃষকদের। বৃষ্টির ফলে চাষবাসে কোথাও লোকসান বা ক্ষতির খবর আসেনি বলে দাবি করেছেন আধিকারিকরা। জেলায় ভাঙড় ১, ২ এবং ক্যানিং ২ ব্লকে ৬২৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। এপ্রিল মাসে প্রখর গরমে চারদিক শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিল, তখন পাট চাষে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু এই দুদিনের বৃষ্টি সেসব পুষিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রীষ্মকালে সব্জি উচ্ছে, লাউ, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শ, ফুলকপি প্রভৃতির ফলনও এবার ভালো হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। এপ্রিল মাসে তিল, সূর্যমুখী, মুগ তোলা হয়ে গিয়েছিল এবং বোরো ধান কাটার কাজও শেষ হয়ে যায়। তাই মে মাসের এই সময়েই ভারী বর্ষা সেরকম কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। কৃষি বিভাগের খবর, জেলার অন্যান্য জায়গার তুলনায় বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার মথুরাপুরে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সোমবার সাগরে বৃষ্টিই হয়নি।