প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
অবশ্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের কাজের চাপ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাতে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে কর্মীর সংখ্যা অনেকটা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা। অভিযোগ, বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নতুন নিয়োগ প্রায় থমকেই রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মী কমেছে ৪০ হাজারের বেশি। সেখানে নিয়োগের নামগন্ধ নেই। এসবেরই প্রভাব পড়ছে গ্রাহক পরিষেবায়। কর্মীদের এই অভিযোগের বিষয়ে কী বলছে কেন্দ্রীয় সরকার? তাদের দাবি, সব ঠিকঠাক চলছে। যত কর্মী দরকার, তার ৯৮ শতাংশই কাজে বহাল আছেন। তাই কোথাও কোনও সমস্যা নেই! কর্মীদের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, বহুদিন যাবৎ সরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এটি তারই অংশবিশেষ।
দ্রুত কর্মী নিয়োগের দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তিনদিনের ধর্মঘট ডেকেছে। সেই ব্যাঙ্ক ধর্মঘট আগামী জানুয়ারিতে। তার আগেও লাগাতারভাবে চলবে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নাগরের কথায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্যই বলছে, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৪০ হাজার কর্মী কমেছে। এদিকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ কর্মী পদ খালি। প্রয়োজনীয় সার্ভিস স্টাফ বা গ্রুপ ডি কর্মীর প্রায় ৮০ হাজার নেই। অথচ, নতুন কর্মী নিয়োগের দিকটি একেবারেই উপেক্ষিত। বাস্তব পরিস্থিতিটা এর থেকে সহজেই অনুমান করা যায়।
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মীদের এতটাই বেশি কাজের চাপ নিতে হচ্ছে যে, অনেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন! দেশের নানা প্রান্তে এই ঘটনা ঘটছে, এবং সেই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিতও হচ্ছে। অথচ, কর্মীদের উপর অনাবশ্যক চাপ কমানোর কোনও পদক্ষেপ দেখছি না।
এই যেখানে অভিযোগ, সেখানে কী বলছে কেন্দ্র? সম্প্রতি সংসদে লিখিতভাবে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, সুষ্ঠু লেনদেনের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে যত কর্মীর দরকার, তার ৯৮ শতাংশই কাজে বহাল আছেন। কেন্দ্রের এই ‘আজব’ যুক্তিতে রীতিমতো অবাক ব্যাঙ্ক কর্মী ও অফিসাররা।