Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

 তেষ্টার জলও কেউ দিতে চাইত না ছোট্ট আম্বেদকরকে

 অচ্ছ্যুৎ দলিত সম্প্রদায়ে জন্মেছিলেন আমাদের দেশের সংবিধানের রূপকার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর। আজ তাঁর জন্মদিন। দলিতদের জন্য সারা জীবন লড়াই করে আসা
এই মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়।


ছেলেটি ছিল অত্যন্ত গরিব, দলিত পরিবারের। ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন চলছে। সেই সময় সমাজে জাতপাতের ভেদাভেদ ছিল অত্যন্ত প্রকট। ছেলেটি দলিত ছিল বলে ক্লাসে উচ্চবর্ণের ছাত্রদের সঙ্গে তার বসার অনুমতি ছিল না। তাকে বসতে হত ক্লাসের বাইরে। মেঝেতে পেতে বসার জন্য সে বাড়ি থেকে বস্তা নিয়ে যেত। তেষ্টা পেলে জলের পাত্র ছোঁয়ারও অধিকার ছিল না। কিছুটা দূরত্ব রেখে উচ্চবর্ণের কেউ এসে জল ঢেলে দিত। ছেলেটির জন্য এই কাজটি করতেন স্কুলের চাপরাশি। তিনি স্কুলে না এলে সেদিন ছেলেটি আর জল পেত না। পরে বড় হয়ে এই অবস্থাকে সে বর্ণনা করেছিল ‘পিওন নেই, জল নেই’ বলে। কে জানত? এই ছেলেটিই একদিন ভারতবর্ষের সংবিধানের রূপকার হবে!
ছেলেটির পুরো নাম— ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল (অর্থাৎ আজকের দিনে) তিনি অধুনা মধ্যপ্রদেশের এক সেনা শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর বাবা রামজি মালোজি সাকপাল সেনাবাহিনীতে সুবেদার ছিলেন। ১৮৯৪ সালে রামজি সাকপাল অবসর নেন। তার দু’বছর পর পুরো পরিবার সাতারায় চলে যায়। এর কিছুদিন পর মা ভীমাবাই মারা যান। আম্বেদকররা তাই মাসির কাছে মানুষ হতে থাকেন। আম্বেদকর যে গরিব মাহার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন সমাজে তা অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে গণ্য হত। চিরকাল তাই তিনি সামাজিক বৈষম্যতা, হিন্দুধর্মের চতুর্বর্ণ পদ্ধতি এবং অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করে গিয়েছেন। অম্পৃশ্যদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। তিনি ছিলেন ভারতের জাতীয়তাবাদী এবং দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। সামাজিক বৈষম্যের শিকার হলেও শিক্ষাদীক্ষায় তিনি সমসাময়িক সকলকে ছাপিয়ে যেতে সমর্থ হন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে তিনি আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। আইন, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর গবেষণা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে রয়ে গিয়েছে। ভারতের ইতিহাস তাঁকে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ, অর্থনীতিবিদ, ঐতিহাসিক এবং রাষ্ট্রবিপ্লবী হিসেবে মনে রেখেছে। ১৯৫৬ সালে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। বৌদ্ধ আন্দোলনকারী হিসেবেও তাঁর বিরাট ভূমিকা ছিল। ‘বাবাসাহেব’ নামেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
তাঁর আসল পদবি ছিল আম্বাভাদেকর। তা এসেছিল গ্রামের (মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার আম্বাভাদে) নাম থেকে। তাঁর ব্রাহ্মণ শিক্ষক মহাদেব আম্বেদকর তাঁর প্রতি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ ছিলেন। তিনিই খুশি হয়ে স্কুলের খাতায় তাঁকে নিজের পদবি (আম্বেদকর) দেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও কৃতী ছাত্র। ১৯০৭ সালে আম্বেদকর প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম অস্পৃশ্য হিসেবে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯১২ সালে তিনি বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এলফিনস্টোন কলেজে পড়ার সময় বরোদার মহারাজা তৃতীয় সায়াজি রাও গায়কোয়াড়ের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য তিনি মাসিক (১১.৫০ পাউন্ড) বৃত্তি পান। এই বৃত্তির সুবাদে স্নাতকোত্তর স্তরে অধ্যাপনার জন্য ১৯১৩ সালে (২২ বছর) তিনি নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। ১৯১৫ সালের জুনে তিনি অর্থনীতিতে এমএ হন। অর্থনীতি ছাড়া তাঁর অন্যান্য বিষয় ছিল সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শনশাস্ত্র এবং নৃতত্ত্ববিজ্ঞান। এই সময় তাঁর গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ ‘প্রাচীন ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৬ সালে তাঁর দ্বিতীয় গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ ‘ন্যাশনাল ডিভিডেন্ড অব ইন্ডিয়া— আ হিস্টোরিক অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’ প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ অধ্যাপক আলেকজান্ডার গোল্ডেনউইজার কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারের আগে তিনি ‘কাস্টস ইন ইন্ডিয়া: দেয়ার মেকানিজম, জেনেসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক পত্র পাঠ করেন। উচ্চস্তরে আইনের পাঠ নেওয়ার জন্য তিনি ১৯১৬ সালের অক্টোবরে লন্ডনের ‘Gray's Inn’-এ ভর্তি হন। পাশাপাশি, লন্ডনের স্কুল অব ইকনমিক্সে তাঁর গবেষণা শুরু করেন। তিন বছরের বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৯১৭ সালের জুন মাসে তিনি ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তাঁর সংগ্রহে থাকা মূল্যবান বইগুলি যে জাহাজে পাঠিয়েছিলেন, এক জার্মান সাবমেরিনের আক্রমণে সেটি ডুবে যায়। অপরদিকে, তাঁর গবেষণামূলক কাজ চার বছরের মধ্যে জমা দিয়ে দেশে ফিরে আসার জন্য তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। অবশেষে, ১৯২৭ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি হন।
বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময়েই অস্পৃশ্যদের শিক্ষিত করে তোলা এবং তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন আম্বেদকর। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বহিষ্কৃত হিতকারিণী সভা’। তাঁর ‘সত্যাগ্রহ’ এক গণআন্দোলনের রূপ নেয়। দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে গতি দিতে তিনি তিনটি পাক্ষিক পত্রিকা শুরু করেছিলেন। সেগুলি হল— মূক নায়ক, বহিষ্কৃত ভারত এবং ইক্যুয়ালিটি জনতা। সাধারণ মানুষ যাতে ভেদাভেদ ভুলে সর্বত্র পানীয় জল সংগ্রহ করতে পারেন, তার জন্য উদ্যোগী হন। ছেলেবেলায় তিনি যে ভেদাভেদের শিকার হয়েছিলেন, তা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর কাউকে মোকাবিলা করতে না হয়, এর জন্য তিনি জনমত গঠনে সফল হন। তিনি প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ ‘মনুস্মৃতি’-র বিধানের বিরোধিতা করেন। প্রতিবাদ স্বরূপ ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি ও তাঁর অনুগামীরা মনুস্মৃতির কপি পোড়ান। সেই থেকে আম্বেদকরের অনুগামী এবং দলিতদের কাছে এই দিনটি ‘মনুস্মৃতি দহন দিন’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৩০ সালে নাসিকে আম্বেদকরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কালারাম মন্দির সত্যাগ্রহে অংশ নেন। যদিও এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মন্দিরে ঢোকার সুযোগ মেলেনি। মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রথমবার দেব দর্শনের সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। আম্বেদকর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এবং মুসলিম সমাজে মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতেও সরব হয়েছিলেন।
আম্বেদকর ১৯৩৫ সালে বম্বের সরকারি আইন কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। দু’বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি নিজের রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিপেনডেন্ট লেবার পার্টি’-র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৭ সালে বম্বের নির্বাচনে ১৩টি সংরক্ষিত এবং ৪টি অসংরক্ষিত আসনের মধ্যে তাঁর দল যথাক্রমে ১১ এবং ৩টিতে জয়ী হয়। ১৯৩৬ সালের ১৫ মে তাঁর ‘অ্যানিহিলেশন অব কাস্ট’ বইটিতে তিনি তথাকথিত হিন্দু গুরুদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ১৯৫৫ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মহাত্মা গান্ধীর কড়া সমালোচনা করেছিলেন। কারণ, গান্ধী ইংরাজি কাগজগুলিতে ভারতের জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে কলম ধরলেও গুজরাতি কাগজগুলিতে এই প্রথার সমর্থন করেছিলেন।
আম্বেদকর ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী। সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গেই পালন করেছিলেন তিনি। ভারতের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আগাগোড়া তিনি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করে গিয়েছেন তিনি। এই ধারায় কোনও রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন, জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত চাপের মুখে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি সংবিধানে এই ধারা অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্য হন। ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে তিনি উত্তর বম্বে আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু, কংগ্রেসের নারায়ণ কাজরোলকরের কাছে তিনি পরাজিত হন। এরপর তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লির বাড়িতে এই মহান ব্যক্তি প্রয়াত হন। ভারতীয় সংবিধানের রূপকারকে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান প্রদান করা হয়। আপামর ভারতবাসী গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তাঁকে চিরদিন স্মরণ করে আসছে, আসবে।
ছবি : সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
14th  April, 2019
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
দুঃসাহসী কলম্বাস
অনির্বাণ রক্ষিত

আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তার নামটি শুনলেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে ভ্রমণপিপাসু সাহসী এক নাবিকের ছবি। যিনি চেয়েছিলেন সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশের খোঁজ করতে। আর সেই নেশাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিল এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার। বিশদ

26th  May, 2024
আশ্চর্য গাছ
সায়নদীপ ঘোষ

দেখলে মনে হবে নীচের অংশ আকাশের দিকে। আর উপরের অংশ রয়েছে মাটির তলায়। মস্ত বড় কাণ্ড নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছটি। ডালপালা, পাতা নেই বললেই চলে। ঠিক যেন মরা গাছ। তোমরা হয়তো ভাবছ, এটা নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিক সৃষ্টি। বিশদ

26th  May, 2024
ঝুলন্ত টব

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

26th  May, 2024
আজও জীবিত প্রাচীন ভাষা

কত ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ বেশ কয়েকটি সুপ্রাচীন ভাষা আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছে। এই ভাষাগুলিতে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কথা বলেন। তারই খোঁজ নিলেন সোমা চক্রবর্তী বিশদ

26th  May, 2024
মায়া
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

ভেবেছিল, সবকিছুই হয়তো বদলে যাবে। চিনতে পারবে না কিছু। অথর্ব নিজেও তো কম বদলায়নি। গ্রাম ছাড়ার পর বিগত পঁচিশ বছরে চুলে পাক ধরেছে, চোখে চশমা উঠেছে। এমনকী...। যাইহোক, তবে গ্রামটা সেভাবে বদলায়নি। চিনতে অসুবিধা হল না। বিশদ

19th  May, 2024
রহস্যে ঘেরা গ্রহাণু বলয়
স্বরূপ কুলভী

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—’।  মহাবিশ্বে কত যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা জানি আমরা। সেখানে পরতে পরতে বিস্ময়। এমনই একটা বিস্ময় হল গ্রহাণু। এগুলিকে কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।  এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহাণু আসলে কী? কোথায় বা সেগুলি থাকে?  বিশদ

19th  May, 2024
এস্কিমো লোককথা
দ্যুতিমান ভট্টাচার্য

রাতের আকাশকে সাজিয়ে রাখে হাজার হাজার তারা। কিছু তারাকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে তৈরি হয় নক্ষত্রমণ্ডলী। উত্তর মেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের লোককথায় রয়েছে তারা তৈরির নানান কাহিনি।  বিশদ

19th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ প্লেট পেইন্ট

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  May, 2024
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কিছুক্ষণ

আগামী বুধবার পঁচিশে বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগে জোড়াসাঁকোর ‘মহর্ষি ভবনে’র মিউজিয়াম ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

05th  May, 2024
একনজরে
ফরাসি ওপেন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। ডান হাঁটুতে চোটের এমআরআই স্ক্যান হওয়ার পর রিপোর্ট দেখে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন সার্বিয়ান মহারথী। ...

প্রথমবার মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াতের অভাবনীয় জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ...

মেদিনীপুরে নিজের হাতে কার্যত ‘পদ্মবাগান’ তৈরি করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই সাজানো বাগান তৃণমূল তছনছ করে দিয়েছে। ...

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরই বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য লড়াই ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। পুরনো বিজেপি নেতারা মঙ্গলবার থেকেই সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বঙ্গ নেতাদের অপসারণ চেয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৬৬১:  আইজ্যাক নিউটন কেমব্রিজের টিনিটি কলেজে ভর্তি হন
১৭৮৩: ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা
১৮৬৫: ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭০: তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯১৫: ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৫: কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৩: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
১৯৯৬: সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্রের মৃত্যু
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৬ টাকা ১০৮.৬৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৪৯ টাকা ৯২.৬৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী ৩৭/৩৩ রাত্রি ৭/৫৬। কৃত্তিকা নক্ষত্র ৪০/৫৩ রাত্রি ৯/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৪৮ গতে ৫/২১ মধ্যে। রাত্রি ৯/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৫ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪। চতুর্দশী রাত্রি ৭/১৫। কৃত্তিকা নক্ষত্র রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

03:44:14 PM

আমি তোমার বোন হতে পেরে গর্বিত, এক্সে রাহুলকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর

03:35:08 PM

আগামী ৭ জুন সকাল ১১ টায় সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ সাংসদদের বৈঠক

03:33:37 PM

রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা
আগামী কাল, বৃহস্পতিবার রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ। দুপুর ২.৩০ টেতে ...বিশদ

03:31:22 PM

মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র খারাপ ফল, উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে আর্জি দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের

03:02:10 PM

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দেখা করলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে

02:43:44 PM