কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সাম্প্রতিক ফর্ম যদি নাইটদের পক্ষে থাকে, তাহলে পরিসংখ্যানে এগিয়ে হার্দিক বাহিনী। ৩৩ বারের সাক্ষাতে ২৩ বার জিতেছে মুম্বই। সেখানে কেকেআর সফল মাত্র ১০ ম্যাচে। তবে চব্বিশের আইপিএলে চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। সাতদিন আগে ওয়াংখেড়ে গিয়ে দাদাগিরি দেখিয়েছিলেন নারিন-স্টার্করা। ১২ বছর পর মুম্বইকে তাদের ডেরায় বশ মানিয়েছিল কেকেআর। এবার ২-০ করার পালা। তবে সেই পথে বড় বাধা সূর্যকুমার যাদব। গত ম্যাচেই দলকে জিতিয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। টি-২০ ফরম্যাটে তিনি টর্নেডো। যখন ঝড় তোলেন, তখন খড়কুটোর মতো উড়ে যায় প্রতিপক্ষের যাবতীয় রণকৌশল। সেই সঙ্গে রোহিত শর্মা, ঈষান কিষান, তিলক ভার্মাও তাল ঠুকছেন। মনে রাখতে হবে, ইডেন বরাবরই রোহিতের পয়া মাঠ। তাছাড়া ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএল মুম্বইয়ের বিপর্যয়ে তাঁর নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে। তার উপর সামনে টি-২০ বিশ্বকাপ। বাকি ম্যাচগুলিতে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরে পালে হাওয়া টানতে মরিয়া হার্দিক।
শক্তির নিরিখে টি-২০ ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা ভুল। কখনও কখনও দু’একজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সও দলকে জিতিয়ে দেয়। যেমনটা হচ্ছে কেকেআরের ক্ষেত্রে। ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন স্বপ্নের ফর্মে। পাওয়ার প্লে’তে তাঁদের ঝোড়ো ব্যাটিংই নাইটদের সাফল্যের অন্যতম পাসওয়ার্ড। তার উপর ইডেনে বিপুল দর্শক সমর্থনও থাকবে তাদের সঙ্গে। মিডল অর্ডারে বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়স আয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেলের মতো তারকারা আছেন। রমনদীপ সিং পাওয়ার হিটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সফল।
তবে দুই শিবিরের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। একদিকে যশপ্রীত বুমরাহ, কোয়েৎজি। অন্যদিকে স্টার্ক ও হর্ষিত রানা। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার বরুণদেব রুষ্ট হলেই মুশকিল। তবে পিচ ঢাকা থাকায় কিছুটা আর্দ্রতা থাকবে। সেক্ষেত্রে স্পিনাররাও সুবিধা পেতে পারেন। এই অঙ্কে কিছুটা এগিয়ে নাইট রাইডার্স। মুম্বইয়ের বাজি বর্ষীয়ান পিযূষ চাওলা ও আফগান অলরাউন্ডার মহম্মদ নবি। সেদিক থেকে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন যেরকম ফর্মে রয়েছেন, তাতে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের চাপে থাকাই স্বাভাবিক।