আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পিংলায় সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল। তার ফলও মেলে। সেই বছর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভালো ফল করে। পাঁশকুড়ার তৎকালীন সাংসদ গীতা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের বিক্রম সরকার জয়ী হন। পিংলাতেও ভালো ফল করে তৃণমূল। অভিযোগ, এরপরই হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নামে সিপিএম। হার্মাদ বাহিনী নামিয়ে শুরু হয় সন্ত্রাস। প্রতিরোধ গড়ে তোলে তৃণমূলও। কিন্তু সিপিএমের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেনি।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সবরাতি বলেন, সেই সময় কেশপুর থেকে হার্মাদ বাহিনী এনে পিংলা দখলে নামে সিপিএম। আমাদের কর্মীদের ঘর, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় লুটপাট, খুনের রাজনীতি। ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় বহু মানুষকে। আমাদের কর্মীদের অপহরণও করা হয়। ২০০০ সালে নিখোঁজ হওয়া পূর্ণ চট্টোপাধ্যায়, রতন ঘোড়াই, বঙ্কিম ভৌমিক, বিদ্যুৎ সামন্ত, প্রলয় সামন্ত, শঙ্কর দাস, মনোরঞ্জন গুছাইত, ঘনশ্যাম দাস অধিকারী, প্রবোধ দাস ও সুফিয়া বিবির আজও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম তাদের অপহরণ করে। তিনি বলেন, ২০২১ সালেও আমাদের এক কর্মী শক্তিপদ বাটুলকে খুন করা হয়।
সভাপতি বলেন, সেই সময় সিপিএমের নেত্রী ছিলেন অন্তরা ভট্টাচার্য। তিনি ও অন্য অনেকেই এখন বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। আমরা মানুষকে বলছি, সিপিএম মানেই বিজেপি। ওরা আবার ক্ষমতায় এলে পিংলায় ফের খুন সন্ত্রাস শুরু হবে। পিংলায় তৃণমূল থাকায় শান্তি আছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা সিটুর জেলা সম্পাদক গোপাল প্রামানিক বলেন, আজগুবি কথা বলে তো লাভ নেই। অপহরণ হয়েছিল কিনা ওরাই বলতে পারবে। ওরা যখন অভিযোগ তুলছে, ওদেরই উত্তর দিতে হবে। ওদের সরকার আছে। এতদিনেও তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না কেন তার উত্তর তৃণমূল সরকারকে দিতে হবে।
অন্তরা দেবী বলেন, অভিযোগটা ঠিক না। সন্ত্রাস হলে ওরা পঞ্চায়েতে ভালো ফল করল কী করে? সিপিএমের নির্বাচিত প্রতিনিধি আর দলের সত্ত্বা এক ছিল না। আমি তো নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলাম, নেতা ছিলাম না। সেই সময়ে ওদের সন্ত্রাসের কথাও সবার মনে আছে। আর আমি যদি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকতাম, তাহলে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে আমি পিংলা ব্লকে লিড পেলাম কী ভাবে? ওদের কথা মানুষ বিশ্বাস করলে তো আমায় ভোট দিত না।