অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শনিবার বিকেলের দিকে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেন ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া। উপস্থিত ছিলেন লোকসভার সকল বিধায়ক। মিছিলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। নাকাশিপাড়া বিধানসভার বেথুয়াডহরি এলাকা বিজেপির শক্তি ঘাঁটি বলেই পরিচিত। সেখানেই তৃণমূলের এই মহা মিছিল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘আমাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপিকে বাংলা তথা গোটা ভারত থেকে উপড়ে ফেলার লড়াই এটা। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার লড়াই এটা।’
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী নিজের বাড়ির এলাকা কৃষ্ণগঞ্জে রোড শো ও প্রচার পর্বের শেষ জনসংযোগ সারেন। পাশাপাশি এই লোকসভার প্রতিটি ওয়ার্ড ও অঞ্চলের স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে একটি করে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। ঘাসফুলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, নিজের এলাকার মানুষের পাশে এতদিন বিধায়ক হিসেবে ছিলাম। এখন বৃহত্তর পরিসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে অবশ্যই মানুষ আমাকে সমর্থন করবে।
তেহট্ট, পলাশীপাড়া এলাকায় মিছিল ও জনসভা করেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি। শেষ দিনের প্রচারে রানাঘাটের সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাসের হয়ে রানাঘাট, বীরনগর, শান্তিপুরে দিনভর র্যালি ও পথসভা করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিন সকালে রানাঘাটের আনুলিয়ায় বামেদের পথসভায় কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের বেশ নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল। হবিবপুর, শান্তিপুর ও বীরনগরেও মীনাক্ষী ও বাম প্রার্থীকে নিয়ে টানা প্রচার চলে সিপিএমের। প্রার্থী অলকেশ দাস ও এসএমসাদি একই সুরে বলেন, ‘একদিকে দুর্নীতি আর অন্যদিকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন, সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলেরই ভাঁওতাবাজি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এবার এর বিরুদ্ধেই ভোট বাক্সে জবাব দেবে।’