কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পাল্টা মানুষের হাতেই বিচার করার ভার ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তিনি বলেন, বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন। তিনি বুঝে গিয়েছেন যে হেরে গিয়েছেন। তাই উনি প্রতিদিন আমাদের তৃণমূলের লোকজনকে গালিগালাজ করছেন। এতটাই ভুলভাল বকছেন যে তিনি জোকারে পরিণত হচ্ছেন। এই ধরনের হিংসা, হুমকির কথা বিজেপির মুখেই মানায়। উনি বলেছেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূলের নেতাদের চামড়া গুটিয়ে দেবেন। চ্যালেঞ্জ জানালাম, আপনি আসুন। তৃণমূলীদের মার দিয়ে দেখান। তারপর আপনি কীভাবে ফিরে যান আমাদের মেয়েরা জবাব দিয়ে দেবে। মানুষ বিচার করবেন কে কার চামড়া তুলবে। ৪ জুন ফলাফল বেরনো শুধু সময়ের অপেক্ষা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সৌমিত্রবাবু। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা হয়েছে। চামড়া তুলে নেওয়ার কথা কোন পরিপ্রেক্ষিতে বললেন সৌমিত্রবাবু? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিগত দিনে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ঝামেলা পাকিয়েছে। কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করছে। অথচ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সব কর্মসূচি করছি। তারপরও পাত্রসায়র, গঙ্গাজলঘাটিতে গোলমাল করার চেষ্টা করেছে। তাই ফের এরকম করার চেষ্টা করলে বিজেপি প্রতিরোধ করবে।
তৃণমূলের সুজাতাদেবীর পাল্টা দাবি, বিজেপি ভোটে হেরে যাওয়ার আতঙ্কে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারজন্যই উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বিজেপি প্রার্থী। কমিশনের এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে সৌমিত্রবাবু বিজেপির বিদায়ী সাংসদ। ২০১৯ সালের ভোটের সময় তৃণমূল প্রার্থী সুজাতাদেবী তাঁর স্ত্রী ছিলেন। সেই ভোটে সুজাতাদেবীকেই রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে ভোট পরিচালনা করতে দেখা যায়। কিন্তু, পরে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারসঙ্গে দল বদল করে সুজাতাদেবীও তৃণমূলে আসেন। তাঁকে এবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। ফলে প্রাক্তন দম্পতির লড়াই ঘিরে জমে উঠেছে বিষ্ণুপুরের রাজনীতির ময়দান।