কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের ক্রিকেটার কীর্তি আজাদও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। ক্রিকেটের মতো রাজনৈতিক ট্র্যাকও তাঁর যথেষ্ট উজ্জ্বল। এরআগে দু’বার সাংসদ হয়েছেন। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। দুর্গাপুরের মাটিতে বিজেপির ‘জুমলা’ তাঁর কাছে যেন ফুলটোস হয়ে আসছে। ওভার বাউন্ডারি মারতেও তিনি কসুর করছেন না। প্রচারে বেরিয়ে কখনও হিন্দি আবার কখনও ভোজপুরী মিশিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করছেন। কৃষিনির্ভর গ্রামীণ বর্ধমানের ভাষা বুঝতে হয়তো কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, তাঁর বাচনভঙ্গিতে অভিভূত হয়ে যাচ্ছেন সকলেই।
কয়েকদিন আগেই ভাতারের এক সভায় গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি ১৫ লক্ষ টাকা করে দেব বলেছিল। দিয়েছে? পাননি তো? ঠনঠনিয়া গোপাল? এই দু’টি শব্দ শোনার পরই হাততালির ঝড় ওঠে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মিমিক্রি করেও তিনি জনতার মন জয় করছেন। নবাবহাটের এক সভায় তিনি মিমিক্রি করে বলেন, ভোটের আগে উনি বলেছিলেন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি হবে। ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? দুর্গাপুরের বন্ধ কারখানা খুলে যাবে বলেছিল। সেই সব কিছুই হয়নি। আসলে বিজেপি জুমলা পার্টি। ইভিএমে ওদের জবাব দিতে হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপবাবু মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁর নিজের টিমের সদস্যদের ময়দানে নামিয়েছেন। তিনি নিজেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন। কখনও পুলিসকে হুমকি দিচ্ছেন, আবার কখনও ৪ জুনের পর তৃণমূল নেতাদের দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাঁর এই আক্রমণাত্মক মেজাজকেই তৃণমূল প্রচারের হাতিয়ার করছে। তাঁকে জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তুলে আনছেন সীতা মায়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, রামের সঙ্গে সীতা বনবাসে গিয়েছিলেন। তার যাওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু, স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি থাকার জন্যই তিনি গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর সন্তান লব-কুশকে নিজে না খেয়েও খাওয়াতেন। এটাই হল মা। সেই মায়েদেরই বিজেপি অপমান করছে। মায়েরা তার জবাব ইভিএমে দেবেন। মায়েরা কীভাবে জবাব দেবেন সেটা জানা নেই। কিন্তু, পরীক্ষা যে কঠিন তা হলফ করেই বলা যায়। সীতা অগ্নিপরীক্ষা দেওয়ার আগে অনেকেই জানতেন তিনি সফল হবেন। কিন্তু, বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা এখনও ধোঁয়াশায় ঢাকা রয়েছে। নিজস্ব চিত্র