প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, কাটোয়া, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট সহ সব থানা এলাকাতেই তল্লাশি চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের ফুটিসাঁকো এলাকায় তল্লাশিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আসা রাস্তায় চরখি, মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতু সহ কাটোয়ার ফেরিঘাটগুলিতেও নজরদারি রয়েছে। ফুঁটিসাকো এলাকার একদিকে বীরভূমের লাভপুর যাওয়া যায়। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানা। মঙ্গলকোটের লোচন দাস সেতু পার হলেই বীরভূমের নানুর সহ বাসাপাড়া, খুজুটিপাড়া সহজেই প্রবেশ করা যায়। ফুটিসাঁকো এলাকা দিয়ে কাটোয়া শহর হয়ে ফেরিঘাট ধরে সহজেই নদীয়া জেলায় যাওয়া যায়। অতীতে এই রুট ধরে বহুবার আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিরা আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে। তাছাড়া ফেরিঘাট দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে অতীতে অনেক মহিলা ক্যারিয়ারও পাকড়াও হয়েছে। কাটোয়া মহকুমা এলাকাকে বরাবরই অস্ত্র কারবারিরা পাচারের করিডর হিসেবে ব্যবহার করে। তাই এইসব এলাকাগুলিকে আলাদাভাবে নজর দিচ্ছে জেলা পুলিস। বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি বিহারের মুঙ্গের বা স্থানীয়ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলায় সাপ্লাই করে। কয়েকজন আবার পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে রেখেও পাচার করে বলে জানা গিয়েছে। তাদের উপর কড় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভোট এগিয়ে আসতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিরা। কয়েকমাস আগে কাটোয়া স্টেশনেও অভিযান চালিয়ে এসটিএফ মুর্শিদবাদের মামা-ভাগ্নে সহ মুঙ্গেরের এক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। • নিজস্ব চিত্র